জেলা ভাগ হলেও জেলা পরিষদ একই ছিল। তবে একশো দিনের প্রকল্প, সর্বশিক্ষা মিশন-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সমস্যার কথা ভেবে জেলা পরিষদ ভাগের বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তিটি হাতে এসেছে। কিন্তু কবে তা কার্যকর হবে তার নির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়নি।”
বর্ধমান জেলা পরিষদের বর্তমানে সদস্য ৭৫ জন। জানা গিয়েছে, ভাগ হওয়ার পরে পূর্বে ৫৮ জন সদস্য ও পশ্চিমে ১৭ জন সদস্য থাকবেন। ৩১টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যেও ৮টি চলে গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমানে। সভাধিপতি বলেন, “আসানসোল আদালত চত্বরের কাছে জেলা পরিষদের ভবন রয়েছে। সেখানেই পশ্চিম বর্ধমানের জেলা পরিষদের কাজকর্ম শুরু হবে।”প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নতুন জেলা গঠিত হওয়ার পরে জেলা পরিষদ এক থাকলে সমস্যা হবে বলে জানিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কর্তাদের দাবি, জেলা পরিষদের নির্বাহী আধিকারিক জেলাশাসক। সেখানে একই জেলা পরিষদে দু’জন জেলাশাসক থাকায় সমস্যা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বর্তমানে জেলাশাসকের নামে আসে। তা অন্য জেলার জন্য খরচ করা নিয়ে মুশকিল হচ্ছে। সংবিধানের ২৪৩-বি ধারা মেনে জেলা পরিষদও আলাদা করার আর্জিও জানান তাঁরা।
প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “নতুন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতির আসন সংরক্ষণ হচ্ছে কি না তার জবাব আসার পরেই নতুন জেলা পরিষদ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।” বর্ধমানের প্রাক্তন সভাধিপতি সিপিএমের উদয় সরকারের কটাক্ষ, “তুঘলকি রাজত্ব চলছে। সবাই জানত, জেলা পরিষদ ভাগ না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে। এখন সেটাই বুঝতে পেরেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy