প্রতীকী ছবি।
মাংস কাটা চলছে। সামনে দাঁড়িয়ে এক রেস্তরাঁর কর্মী। মাংস ব্যবসায়ীর আর্জি সেই কর্মীকে, ‘দাদা, ভি়ডিও করুন, আমরা টাটকা মাংস কেটে দিই।’— কলকাতায় ভাগাড়ের মাংস পাতে পড়ার ঘটনা সামনে আসার পরে নিজেদের ‘সুনাম’ ধরে রাখতে এমনই ‘কৌশল’ নিতে দেখা গিয়েছে এক মাংস বিক্রেতাকে। সোমবার বর্ধমান শহরের রাধানগর এলাকার একটি মাংসের দোকানের ঘটনা। তবে মাংস বিক্রেতা থেকে রেস্তরাঁ মালিক সকলেরই আশ্বাস, এই শহরে কোনও মাংস কাটার কারখানা বা মাংস সংরক্ষণের হিমঘর নেই। যা মাংস আসে সবই টাটকা। তাই ভয়ের কোনও কারণ নেই।
শহরের রেস্তরাঁগুলিতে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে মাংসের পদের কদর কম। তবে রাধানগর, বর্ধমান স্টেশন লাগোয়া বাজার, বীরহাটা-সহ নানা এলাকায় এ দিন মাংসের পাইকারি বাজারেও বিক্রিবাটা কিছুটা কম ছিল বলেই জানান মাংস-বিক্রেতারা। তাঁদের অনুমান, ভাগাড়-কাণ্ডের পরে ক্রেতার চাহিদা কিছুটা কম হওয়াতেই রেস্তরাঁ ও বিভিন্ন কেটারিং সংস্থাগুলি কাটছাঁট করছে মাংসের পদে। শিয়রে মেঘ দেখেই তাই, ভিডিও-র পরিকল্পনা বলে জানান রাধানগরের মাংস-বিক্রাত শান আলম খান। কেন এমনটা? তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিক্রেতাদের দিক থেকে কোনও গলদ নেই, তা বোঝাতেই এই পন্থা। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা, সব পক্ষেরই পারস্পরিক বিশ্বাস অটুট থাকবে।’’ ভিডিও করতে করতেই কেটারিং ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান বলেন, ‘‘ক্রেতারা কোনও রকম প্রশ্ন করলে এই ভিডিও-টা দেখাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy