অবরোধ জিটি রোডে। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
আড়তে বসে কাজ করার সময়ে ব্যবসায়ীর উপরে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে কুলটির নিয়ামতপুরে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে শ’দুয়েক মিটার দূরে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবার এলাকায় জিটি রোড অবরোধ করেন বাসিন্দারা। আংশিক ব্যবসা বন্ধও পালন করা হয়।
নিয়ামতপুর স্টেশন রোডের চাল ও তেলের পাইকারি ব্যবসায়ী শিবশঙ্কর ঘেড়িয়া পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি আড়তে বসে বেচাকেনার হিসেব করছিলেন। অতর্কিতে দুই দুষ্কৃতী সেখানে ঢুকে পড়ে। রিভলবার উঁচিয়ে ক্যাশবাক্সের টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। বাধা দিতে গিয়ে তিনি দুষ্কৃতীদের এক জনকে জাপটে ধরতেই মাথা লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশের দেওয়ালে লাগে। এর পরে দুষ্কৃতীরা রিভলবারের বাঁট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। শিবশঙ্করবাবু বলেন, ‘‘প্রচণ্ড যন্ত্রণায় আমি মাথা চেপে মাটিতে বসে পড়ি। চিৎকার জুড়ে দিলে বিপদ বুঝে ক্যাশবাক্স ছেড়ে ওরা পালায়।’’
ঘটনা জানাজানি হতেই আশপাশের ব্যবসায়ীরা ভিড় জমান। পুলিশও পৌঁছয়। আসেন এসিপি (পশ্চিম) অগ্নীশ্বর চৌধুরী। ব্যবসায়ীরা রাতেই থানায় গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এই ঘটনা নিয়ে সোমবারও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে নিয়ামতপুরের পাইকারি বাজার বন্ধ রাখা হয়। সকাল ১১টা থেকে আধ ঘণ্টা জিটি রোড অবরোধ করা হয়। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তোলে।
আহত শিবশঙ্করবাবু।
২৩ জানুয়ারি নিয়ামতপুরেই এক খনিকর্মীর নতুন বাড়িতে গৃহপ্রবেশের আগের রাতে বিস্ফোরণ ঘটায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, এলাকায় এক দল দুষ্কৃতী অবৈধ মদ-জুয়ার ঠেক চালাচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই বিপদে পড়তে হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ব্যবসায়ীর উপরে হামলায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাসের আশ্বাস, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
নিয়ামতপুর বণিকসভার সম্পাদক শচীন বালাডিয়ার অভিযোগ, ‘‘এ ভাবে ব্যবসায়ীর আড়তে ঢুকে হামলা আগে কখনও হয়নি। আমরা খুবই আতঙ্কিত।’’ শিবশঙ্করবাবু এ দিনও বেশ আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। এ দিন তাঁর বাড়িতে যান কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy