বন্ধ খেয়া পারাপার। নিজস্ব চিত্র
খেয়া পারাপারের ভাড়া বাড়ানোয় দাঁইহাটের দুই মাঝি ও নৌকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠল নদিয়ার মাটিয়ারির বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনার পরে দিনভর বন্ধ থাকে খেয়াঘাট। বিপাকে পড়েন দু’দিকের বহু যাত্রী। অনেককেই কাটোয়া ফেরিঘাট অথবা ট্রেনে নবদ্বীপ গিয়ে সেখান থেকে বাসে বেথুয়াডহরী বা কৃষ্ণনগর যেতে হয়।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘রাজ্য পরিবহণ দফতর এই ভাড়া বাড়িয়েছে। আমাদের কিছু করার নেই।’’ নদিয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন ভোর ছ’টা নাগাদ দাঁইহাটের দেওয়ানগঞ্জ ঘাট থেকে যাত্রীবোঝাই নৌকা ছাড়ে। অভিযোগ, মাটিয়ারি ঘাট পৌঁছতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ নৌকা আটকে দেয়। আটকে রাখা হয় দুই মাঝি শঙ্কর মণ্ডল ও দয়াল মণ্ডলকেও। জেলা পরিষদ পরিচালিত দেওয়ানগঞ্জ ঘাটের ইজারাদার গুরুপদ সরকার বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ১লা বৈশাখ থেকে মাথাপিছু ও যানপিছু ১ টাকা করে ভাড়া বেড়েছে। আমরা পয়লা মে থেকে তা চালু করেছি।’’ জানা গিয়েছে, মাথাপিছু ভাড়া এক টাকা থেকে দু’টাকা, সাইকেলের ভাড়া দু’টাকা থেকে তিন টাকা, মোটরবাইকের ভাড়া তিন থেকে চার টাকা করা হয়েছে। গুরুপদবাবুর দাবি, ফি দিন হাজার দুয়েক যাত্রী পারপার করেন। এক দিনে হাজার দশেক টাকা লোকসান হল বলেও দাবি তাঁর।
যদিও মাঝিদের আটকে রাখার কথা অস্বীকার করেছেন নদিয়ার ফরিদপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তুষার পালিত। তিনি বলেন, ‘‘আচমকা ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মাটিয়ারি ও ফরিদপুরের বাসিন্দারা পঞ্চায়েতে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। আর কিছু হয়নি।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, দেওয়ানগঞ্জ ঘাটে চড়া পড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের কিলোমিটার খানেক হেঁটে আসতে হয়। টোটো ব্যবহার করলে বেশি ভাড়া চান ইজারাদার। এ ছাড়া নৌকা কম থাকা, মাঝিদের মদ্যপ অবস্থায় নৌকা চালানোরও অভিযোগ করেন তিনি।
কাটোয়া ২-এর বিডিও শিবাশিস সরকারও জানিয়েছেন, আপাতত দিন সাতেক আগের ভাড়াই বহাল রাখতে বলা হয়েছে ইজারাদারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy