ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র
‘জাতীয় নাগরিক পঞ্জি’র পোস্টার মারা নিয়ে দু’দলের ‘বচসা’, তার জেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় দফতরে ভাঙচুর, কর্মীদের বাড়িতে হামলা ও বোমাবাজির অভিযোগ করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খণ্ডঘোষের কেশবপুর গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামের বিজেপি কর্মী সিরাজুল কাজি রাতেই তৃণমূলের ১২ জনের বিরুদ্ধে খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ করেন। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশের দাবি, তদন্ত চলছে।
বিজেপির অভিযোগ, এনআরসি নিয়ে গ্রামে পোস্টার মারছিল তৃণমূল। তারই পাল্টা হিসেবে কেশবপুর গ্রামে পোস্টার সাঁটান বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন বাধা দিলে বচসা বাধে। পরে তৃণমূল নেতা শেখ জাহাঙ্গিরের নেতৃত্বে অভিযুক্তরা বন্দুক, তির-ধনুক, ছুরি, কাটারি ও লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমে বিজেপির কেশবপুরে দলীয় দফতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। টিভি-সহ একাধিক আসবাবপত্র ভাঙা হয়। দফতরের সামনে রাখা চারটি মোটরবাইক ভেঙে, রাস্তায় বোমাবাজি করা হয় বলেও অভিযোগ।
সিরাজুল কাজি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, পার্টি অফিসে তাণ্ডব চালানোর পরে, দলীয় কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। শেখ রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে বোমাবাজি, শেখ ইসরাফিলের দোকানে ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগকারীর দাবি, “আমার বাড়িতেও হামলা, ভাঙচুর হয়েছে। বাইরে থেকে বাড়িতে ইট, পাথর ছুড়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।’’ নবম শ্রেণির এক পড়ুয়া গুরুতর জখম হয়েছেন বলেও তাঁর দাবি।
বিজেপির খণ্ডঘোষের পর্যবেক্ষক বিজন মণ্ডলের দাবি, “বৃহস্পতিবার সকালে জেলা তৃণমূল নেতারা কেশবপুর গিয়েছিলেন। তার পরেই অশান্তি শুরু হয়। হামলার পিছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অপার্থিব ইসলামের ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীরা রয়েছে।’’ যদিও এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই, দাবি করেছেন খণ্ডঘোষের ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য অপার্থিব ইসলাম। তিনি বলেন, “এনআরসি নিয়ে বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছিল। গ্রামের ভিতরে বিভেদ তৈরির প্রচেষ্টা নিয়ে গ্রামবাসীরা সরব হন। তাঁরা একজোট হয়ে প্রতিবাদ করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy