বন্ধ: বিলি হয়নি এই দোকানগুলিই। নিজস্ব চিত্র
হাটের বিভিন্ন পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে নতুন ভবন তৈরি করে রানিগঞ্জ পুরসভা। কিন্তু হাট সরানোর প্রায় ১৭ বছর পরেও প্রায় ৭০টি দোকান বিলি করা হয়নি বলে অভিযোগ রানিগঞ্জের এতোয়াড়ি মোড়ের ব্যবসায়ীদের। এই পরিস্থিতিতে ফুটপাথ দখল করে বিকিকিনি, স্থান সঙ্কুলান-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামোগত সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল হাটে ঢোকার মুখে রাস্তা দখল করে ঠেলায় করে সব্জি, ফল থেকে লটারির দোকান সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়াও হাটের ভিতরের রাস্তাও দখল করে নানা সামগ্রীর বিকিকিনি চলছে। হাট সরিয়ে আনার সময়ে দুশো দোকানদারকে পাঁচ ফুট করে জায়গা দেওয়া হয়। কিন্তু ক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ, সেই পাঁচ ফুট জায়গায় গুদাম বানিয়ে আরও কিছু অংশে দোকান তৈরি করা হয়েছে।
প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, সাবেক রানিগঞ্জ পুরসভা শক্তিগড়িয়ার হাটটি সরানোর পরিকল্পনা নেয়। সেই মতো ২০০০ সালে হাটটি সরে আসে এতোয়াড়িতে নির্মিত নতুন ভবনে। সেখানে পুরসভা প্রায় ২১১টি দোকানঘর তৈরি করে। এর মধ্যে এখনও ৭০টি ঘর এখনও বিলি হয়নি বলে অভিযোগ। এ ছাড়া প্রায় ৭০-৮০ জন দোকানদার ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ীদের আক্ষেপ, ‘‘সমস্যা সমাধানের জন্য হাট সরানো হল। অথচ কাজের কাজ কিছুই হল না।’’
হাটের পরিকাঠামো নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। বিক্রেতাদের একাংশ জানান, তাঁদের কাছ থেকে পরিষেবার জন্য ফি দিন এক টাকা করে নেয় পুরসভা। অথচ বাজারের সাফাই নিয়মিত হয় না। মাছের দোকানদারদের জন্য স্থায়ী ছাউনির কোনও ব্যবস্থা করেনি পুরসভা। স্থানীয় বাসিন্দা জীবন মুখোপাধ্যায়, বাসুদেব গোস্বামীদের ক্ষোভ, ‘‘কোনও কিছুই সুষ্ঠু ভাবে না হওয়াতেই এই হাল।’’ মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, ‘‘নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বাকি দোকানগুলি বিলির ব্যবস্থা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy