—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বন্যার জেরে গত বছর বর্ষাকালীন আমন ধান হয়নি। সামনে বোরো চাষেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে খানাকুলের পিলখাঁ মৌজার প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে। সেখানকার কৃষি-সেচের গভীর নলকূপটি দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে থাকার পর সম্প্রতি চালু করা হলেও পাইপ লাইন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জমিতে জল যাচ্ছে না। অসহায় চাষিরা মহকুমা কৃষি-সেচ দফতরের সহায়তা চেয়েছেন। গণস্বাক্ষর করে আবেদন জানানো হয়েছে।
চাঁপাডাঙা কৃষি-সেচ দফতরের অধীন খানাকুলের কৃষি-সেচ ব্যবস্থা। ওই দফতরের সহকারী বাস্তুকার অনিমেষ সেনগুপ্ত বলেন, “হস্তান্তর করা প্রকল্পটি নিয়ে কোনও গণ-আবেদন এখনও হাতে আসেনি। এলে আমরা প্রকল্প রচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।”
বাম আমলে কৃষি-সেচ দফতর থেকে খানাকুল ১ ব্লকের ঘোষপুর পঞ্চায়েত এলাকার পিলখাঁতে ওই সেচ প্রকল্পটি হয়। সেই সময়েই দফতর থেকে প্রকল্পটি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে চাষিদের তথা উপভোক্তা কমিটিকে হস্তান্তর করা হয়। প্রকল্প হস্তান্তরের পর বিদ্যুৎ-সহ তদারকির খরচ বহন করার কথা উপভোক্তা কমিটির। কিন্তু বছর চারেক আগে প্রায় ২ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ দফতর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ট্রান্সফর্মার খুলে নিয়ে যায়। প্রকল্পটি বন্ধ থাকে। ব্যক্তি-মালিকানার সেচ প্রকল্পগুলি থেকে দ্বিগুণ বেশি দামে জল কিনে কিছু চাষি চাষ করলেও অধিকাংশ জমি পতিত থাকত বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
বছর খানেক আগে চাষিরা বিষয়টি ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে জানিয়ে এবং পঞ্চায়েতের সহায়তা নিয়ে বিদ্যুৎ বিল মেটান। সপ্তাহ খানেক আগে চাষিদের উপভোক্তা কমিটির খরচে নতুন ট্রান্সফর্মার বসিয়ে জলপ্রকল্পটি চালু করা হয়। উপভোক্তা কমিটির কর্তা উৎপল খামরুই, বিমল মালিকেরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সব পাইপ লাইন ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে। চেম্বারে জল যাচ্ছে না। পুরো লাইন বদলাতে হবে। সেই পরিকাঠামো এবং আর্থিক সামর্থ্য চাষিদের নেই। পতিত হয়ে থাকছে তিন ফসলি বা বহু ফসলি অনেক জমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy