বাঁ দিক থেকে, রাহুল সিংহ, গৌতম দেব, অধীর চৌধুরী, শুভেন্দু অধিকারী। বসিরহাটে নির্মল বসুর তোলা ছবি।
তৃণমূলের সরকার আর শোধরানোর মতো নয়, এই ভাষাতেই বসিরহাটের ভ্যাবলার প্রচার সভায় এসে আক্রমণ শানালেন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেব। আগামী ১১-১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮টি জায়গাতে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলেও তিনি জানান। তৃণমূলের অর্ধেক নেতা-মন্ত্রী জেলে ঢোকার জন্য এক পা বাড়িয়ে রয়েছেন বলে কটাক্ষ করেন গৌতমবাবু। বিজেপি-র প্রতি তাঁর বার্তা, “এই রাজ্যে যাদের একটিও বিধায়ক নেই, তাদের আগামী বিধানসভা ভোটে খোয়াব দেখা উচিত নয়।”
অন্য দিকে এ দিনই গৌতমবাবুর আক্রমণের উত্তর দিয়েছেন তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী। টাকি ও বসিরহাটে সভায় তিনি বলেন, “জ্যোতিবাবুর আমলে যখন একাধিক চিটফান্ডগুলি টাকা মেরেছে, তখন কোথায় ছিল সিপিএমের সব নেতারা। ক’টা মানুষের টাকা তাঁরা ফেরত দিতে পেরেছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “বুদ্ধবাবুর আমলেই এই লগ্নি সংস্থাগুলি তৈরি হয়েছিল। মমতা তো সারদার মালিককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে জেলে ঢুকিয়েছেন।” বিজেপি সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, “বাজারের জিনিসপত্র যেমন অগ্নিমূল্য, তাতে সুদিনের বদলে দুর্দিন এনেছে বিজেপি।”
এ দিন সন্ধ্যায় ভ্যাবলা স্টেশন-সংলগ্ন মাঠে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে বিজেপিকে তুলোধনা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “কংগ্রেসকে পরাজিত করে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনায় ওরা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্টের চেষ্টা শুরু করেছে। তৃণমূল প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আমাকে হাফপ্যান্ট-পরা মন্ত্রী বলে ব্যঙ্গ করা ফুলপ্যান্ট-পরা মমতা, মুকুল, দীনেশরা তো বসিরহাটে এসে ওভারব্রিজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কোথায় গেল সেই ওভারব্রিজ?
এ দিন সকালে হুডখোলা গাড়িতে করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ দলীয় প্রার্থীকে পাশে নিয়ে বসিরহাটে শোভাযাত্রা করেন। তিনি বলেন, “এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে সারদার টাকা খেয়েছে তৃণমূলের নায়ক-গায়িকারাও। সিবিআই ধাপে ধাপে খুব শীঘ্রই মন্ত্রী পর্যন্ত এগোবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy