Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Heritage

ধান্যকুড়িয়ার জমিদারদের বাগান বাড়িতে আগুন, পেয়েছিল হেরিটেজ তকমা

দমকল বিভাগের আধিকারিক রাজু দাস জানিয়েছেন, ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কিছু পুরনো জামাকাপড়, আসবাবপত্র ছিল, যেগুলিতে আগুন ধরে যায়। প্রাচীন ওই বাড়িতে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।

ধান্যকুড়িয়ায় জমিদারদের বাগান বাড়িতে আগুন।

ধান্যকুড়িয়ায় জমিদারদের বাগান বাড়িতে আগুন। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৪
Share: Save:

ধান্যকুড়িয়ায় জমিদারদের বাগান বাড়িতে আগুন ধরে গেল মঙ্গলবার। গায়েন পরিবারের ওই বাড়িকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছিল। সেই বাড়িরই একতলা এবং দোতলায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দেগঙ্গা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। স্থানীয়েরাও আগুন নেভানোর জন্য জল দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কী ভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

দমকল বিভাগের আধিকারিক রাজু দাস জানিয়েছেন, ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কিছু পুরনো জামাকাপড়, আসবাবপত্র ছিল, যেগুলিতে আগুন ধরে যায়। প্রাচীন ওই বাড়িতে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। তাই কী ভাবে সেখানে আগুন ধরল, তা খতিয়ে দেখছে দমকল ও পুলিশ।

বসিরহাট-বেড়াচাঁপার মধ্যে টাকি রোডের ধারে গড়ে উঠেছে ধান্যকুড়িয়ার গাইন গার্ডেন। প্রায় দেড়শো বছর আগে ধান্যকুড়িয়ার পাট ব্যবসায়ী মহেন্দ্রনাথ গাইন দুর্গের আদলে ৩৩ বিঘা জমি জুড়ে ভবনটি নির্মাণ করেন। ইন্দো-ইউরোপীয় মিশ্র রীতিতে তৈরি হয়েছিল বাড়িটি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই বাগান বাড়িতে জমিদার ও তাঁদের ব্যবসায়িক সহযোগী ইংরেজদের বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল। সে সময়ে টাকি রোড বরাবর মার্টিন রেল চলত। ধান্যকুড়িয়ায় স্টেশনও ছিল। ওই রেলে করে ইংরেজরা আসত গাইন গার্ডেনে। ২০২২ সালে এই বাগানবাড়িকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, তকমা পেলেও এর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Heritage Zamindar House
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE