তখন চলছে অবস্থান। —নিজস্ব চিত্র।
অস্থায়ীকর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবিতে তৃণমূল পরিচালিত বসিরহাট পুরসভার পুরপ্রধানের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল পরিচালিত পুর কর্মচারী ফেডারেশনের সমর্থকেরা। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনায় পুরভবনে উত্তেজনা ছড়ায়। তার রেশ ছড়িয়ে পড়ে পুরপ্রধানের ঘরেও। দুই তৃণমূল কাউন্সিলর বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন।
পুরপ্রধান অতসী আন বলেন, “সরকারি ভাবে ২৮টি স্থায়ী পদের অনুমোদন মিলেছে। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। সেখানে রেজ্যুলিউশনের দায়িত্ব ছিল দফতরের এক আধিকারিক শক্তিশঙ্কর ভট্টাচার্যের উপরে। তিনি রেজ্যুলিউশনের কপি না দেওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত বিষয়টি মিটিয়ে অস্থায়ীকর্মীদের স্থায়ীকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ অভিযোগ প্রসঙ্গে শক্তিশঙ্করবাবু অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পুর প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে তৃণমূল পরিচালিত বসিরহাট পুরসভায় ১৯৬ জন অস্থায়ী কর্মী আছেন। তাদের অনেকেই ১০-১৫ বছর ধরে কাজ করছেন। স্থায়ী চাকরির দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অস্থায়ী কর্মীদের কথা ভেবে পুর কর্তৃপক্ষের তরফেও তাঁদের স্থায়ীকরণের জন্য চেষ্টা শুরু হয়। ২০১৩ সালের ২৩ অগস্ট ১১ জন, ২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩ জন, ৩০ ডিসেম্বর ২ জন এবং চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ১৫ জন স্থায়ী কর্মী নিয়োগের সরকারি নির্দেশ আসে। বর্তমান পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা ক্ষমতায় আসার আগে গত পুরবোর্ডে ক্ষমতায় থাকা পুর কর্তৃপক্ষের তরফে ৩টি পদে বহাল করে স্থায়ীকরণ করা হয়। ফলে এখনও ২৮টি পদে বহাল বাকি রয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, সামনেই পুরভোটের দিন ঘোষণা হবে। এখনই ওই ২৮টি পদ পূরণ না করা হলে বড় রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী পদগুলিতে বহাল খারিজও হওয়ারও আশঙ্কা আছে। তাই এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ পুরপ্রধানের ঘরের সামনে আন্দোলনে বসেন অস্থায়ী কর্মীরা। আইএনটিটিইউসি পরিচালিত রাজ্য পৌর কর্মচারী ফেডারেশনের বসিরহাট শাখার সম্পাদক রাজীব দে বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের জন্য অনেক লড়াই আন্দোলনের পরে কয়েকটি স্থায়ী পদের অনুমোদন মিলেছে। তার উপরে বর্তমান পুরপ্রধান সংশ্লিষ্ট দফতরে অনেক ছোটাছুটি করে আরও কয়েকটি স্থায়ী পদের ব্যবস্থা করেছেন। এ বিষয়ে কয়েক দিন আগে বৈঠক হয়ে গিয়েছে। অথচ শক্তিবাবু চক্রান্ত করে বৈঠকের রেজ্যুলিউলেশন না দেওয়ায় চাকরির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না।” তাঁর কথায়, “পুর ভোট আসন্ন। এখনই পদ পূরণের ব্যবস্থা না করা হলে অস্থায়ী কর্মীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়েই অবস্থান বিক্ষোভে বসা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy