তখনও চলছে খোঁজ। ইনসেটে, তরুণ দাস। ছবি: শান্তনু হালদার।
পাড়ার কালীপুজোর বিসর্জন দিতে পুকুরের দিকে গিয়েছিলেন যুবক। তারপর থেকে খোঁজ মিলছিল না। রাতভর তল্লাশি চালানোর পরে বৃহস্পতিবার সকালে যুবকের দেহ উদ্ধার হল ওই পুকুর থেকেই।
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হাবরার নগরথুবা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তরুণ দাস (২৭)। তিনি হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে ওই এলাকার দাসপাড়ায় কালীপুজোর বিসর্জনে গিয়েছিলেন তরুণ। রাজবাড়ি ঘাটের একটি বড় পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন হয়। তরুণের মা ও আত্মীয়েরাও ছিলেন সেখানে।
বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ সকলে প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। ফেরার পথে ওই যুবকের মা দেখেন, পুকুরের পাড়ে ছেলের চটি পড়ে আছে। চটিটি নিয়েই তিনি বাড়ি আসেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ছেলের দেখা না পেয়ে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। সন্দেহ হওয়ায় সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সকলে ওই পুকুরে যান তরুণকে খুঁজতে।
খবর পেয়ে হাবরা থানার আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যান। মৈনাকবাবু জানান, বিসর্জনের ভিডিওতে তরুণকে শেষবারের মতো পুকুর ঘাটে দেখা গিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। আটজন মৎস্যজীবীকে পুকুরে নামানো হয়। রাত ৯টার পরেও দেহ মেলেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, পুকুরটি প্রায় সাড়ে ৮ ফুটের মতো গভীর। তরুণবাবু সাঁতার জানতেন না। মৎস্যজীবীরা পুকুরে কিছু খুঁজে না পাওয়ায় পুলিশ আশপাশের এলাকাতেও খোঁজ শুরু করে। খবর পৌঁছয় সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এবং জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের দুই সদস্যকে পাঠানো হয়। তাঁরা রাত ১টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি চালান। রাত ২টা নাগাদ ব্যারাকপুর আর্মড পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তাঁরাও দেহ উদ্ধার করতে পারেননি। অবশেষে কলকাতা পুলিশের উদ্ধারকারী একটি দল এসে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে পুকুর থেকেই যুবকের দেহ তোলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy