মগরাহাট: প্রসূতিদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ।
মগরাহাটের মামুদপুর গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যে সমস্ত প্রসূতিরা এসেছেন, তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডের ট্যাবলেটও। কিন্তু আদৌ প্রসূতিরা তা খান তো? অনেক মহিলারাই জানালেন, নানা কারণে ট্যাবলেট খেতে তাঁদের অনীহা। আশাকর্মীদের দাবি, আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার কথা তাঁরা পই পই করে বলেন প্রসূতিদের।
মগরাহাট গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অধীনে রয়েছে ৩৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। বর্তমানে সেখান থেকে পরিষেবা পান ৬,৬৬৮ জন গর্ভবতী। আর সদ্য মা হয়েছেন ১,৫০০ জন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গর্ভবতীদের রক্তে হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখা এবং সন্তান প্রসবের সময়ে যে রক্তক্ষরণ হয়, তার ফলে যাতে রক্তাল্পতা দেখা না দেয়— সে জন্যেই আয়রন ট্যাবলেট দিতে হয়।
স্বাদ, গন্ধের কারণে অনেকের আয়রন ট্যাবলেট খেতে চান না বলে যেমন জানা গেল, তেমনই স্বাস্থ্যকর্মীদের কিছু গাফিলতির কথাও উঠে এল মহিলাদের কথায়। অনেকে জানালেন, কিছু দূরবর্তী বাড়িতে নিয়মিত পৌঁছন না আশাকর্মীরা। কোথাও কোথাও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীর সংখ্যা কম। তাতেও সমস্যা হয়। মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতালের অধীনের একটি অঙ্গনওয়াড়ির স্বাস্থ্যকর্মী মিনতি ঘোষ জানালেন, কর্মীর অভাবে নাম নথিভুক্ত করা থেকে টিকাকরণ— সবই একার হাতে সামলাতে হয় তাঁকে। তবে সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিকেরা নিয়মিত নজরদারি চালান বলে দাবি দফতরের। প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সদ্য মা ও প্রসূতিদের নিয়ে সপ্তাহে সপ্তাহে সভা করা হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ এমজি আলম বলেন, ‘‘মাঝে মধ্যে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট সরবরাহ অনিমিত হয়ে যায়। তখন কিছুটা সমস্যা হয়। স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীদের উপরে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি তাঁদের নিয়েও অনেক সময়ে সভা ডেকে বিষয়টি বোঝানো হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy