ভিড়: আসছেন বিদেশিরাও — নিজস্ব চিত্র
বাতাসে সবে হিমের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। স্নানের পড়ে খোঁজ পড়ছে ক্রিমের। তবে হেমন্তের রোদ্দুর গায়ে মেখে পর্যটকেরা ভিড় করতে শুরু করেছেন সুন্দরবনে।
পরিকাঠামো নিয়ে বহু অভিযোগ থাকলেও রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে সুন্দরবন বরাবরই আকর্ষণীয় গন্তব্য। দার্জিলিংয়ে গণ্ডগোলের জেরে পাহাড়ে এখনও তেমন পা পড়ছে না পর্যটকদের। তাই কদর বেড়েছে সুন্দরবনের। পর্যটন ব্যবসায়ীরা ভাল লাভের আশাও করছেন মরসুমে।
পর্যটকদের ভিড় দেখে ক্রমশ হাসি চওড়া হচ্ছে সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ী, লঞ্চ, ভুটভুটি মালিকদের। মরসুমের শুরুতেই যদি এ ভাবে ভিড় হতে থাকে, তা হলে আগামী দু’তিন মাসে ভাল লক্ষ্মীলাভের আশায় আছেন সকলেই। দিন দু’য়েক আগে পীরখালি জঙ্গলের কাছে পর্যটকদের ক্যামেরায় বাঘের ছবি ধরা পড়ায় উৎসাহ বেড়েছে সব মহলে। ক্যানিংয়ের অধিকাংশ লঞ্চ মালিকদের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বুকিং হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে ব্যবসায়ীরা মনে করেন, এ বার নিরাপত্তা একটু বেশি বাড়লে ভাল হয়। সম্প্রতি ঝড়খালির কাছে হামালবেড়িয়া জঙ্গলের কাছে জলদস্যুরা একটি বাংলাদেশি জাহাজে লুঠপাট করার পরিকল্পনা করেছিল। যদিও পুলিশ আগাম খবর পেয়ে তা রুখে দেয়। পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের দিকটা নিয়ে প্রশাসন নজর বাড়াক, এমনটা দাবি আছে ব্যবসায়ী মহলের। এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘অনেক পর্যটক আসার আগে নিরাপত্তার নিয়ে আমাদের কাছে খোঁজ-খবর করেন। বহু বিদেশি পর্যটক থাকেন। আমরা বলি, সব ঠিক আছে। তবু সরকার যদি আর একটু নজর দিত এ দিকে, তা হলে অনেক নিশ্চিন্ত হতে পারতেন ব্যবসায়ীরা। সেই নিরাপত্তার আশ্বাসটুকু পর্যটকদের আরও বেশি করে আকর্ষণ করত সুন্দরবনে।’’
ব্যবসায়ীরা জানালেন, অনেক পর্যটক রাতে লঞ্চে ভেসে থাকা পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের নির্দেশে লঞ্চ ঝড়খালি ও পাখিরালার কাছে নোঙর করা হয়। তবে অনেক পর্যটক চান, জঙ্গলের কাছে কোথাও একটি জায়গায় প্রশাসনের নজরদারিতে লঞ্চ নোঙর করা হোক। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জলপথে নজরদারি সব সময়ে চালানো হয়। সুন্দরবন ওয়াটার পিপলস্ সোসাইটির সম্পাদক দীপক দাস (দীপু) বলেন, ‘‘এ বার শীতে পাহাড় বন্ধ। তাই পর্যটকরা ভ্রমণের জন্য সুন্দরবনকে বেছে নিচ্ছেন। প্রথম থেকেই ভিড় বাড়ায় আমরা খুশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy