এত দিন ছিল চার দেওয়ালের মধ্যে। এ বার তা চলে এল প্রকাশ্যে, একেবারে ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে!
তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওই দলেরই পুর কর্মচারী সংগঠন রীতিমতো বি টি রোডে ম্যারাপ বেঁধে, চোঙা লাগিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করলেন। বুধবার দুপুরের এই ঘটনাস্থল কামারহাটি পুরসভা।
এক সপ্তাহ আগে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ-সহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে পুরসভা বিল্ডিংয়ে ঘুরে মিছিল করেছিলেন কামারহাটি পৌর কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। ওই দিনই কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা নির্দেশ জারি করেন যে, পুরসভার ভিতরে কোনও মিছিল করা যাবে না। তবে দুপুরে টিফিনের সময়ে আধ ঘণ্টার জন্য শুধু মাত্র পুরসভার মেন গেটের সামনে আগাম অনুমতি নিয়ে মিটিং করতে পারবে কর্মী সংগঠনগুলি।
এর পরেই এ দিন পুরসভার সামনে নিজেদের ১১ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সংগঠনের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান পারিষদ বিমল সাহা, কালামুদ্দিন আনসারি, পশ্চিমবঙ্গ পৌর কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিস দে-সহ অন্যান্যরাও।
যদিও এই নেতৃত্বরা কেউই এ দিনের বিক্ষোভ সমাবেশকে দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বলে মানতে নারাজ। তবে জেলা নেতৃত্বের একাংশের মতে, দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুর কর্মচারীদের প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দেখানোয় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
চেয়ারম্যান গোপালবাবুর কথায়, ‘‘পুরসভার নিয়ম না জেনে যা খুশি বললেই তো হয় না। আসলে মামা-কাকা ধরে চাকরি পাওয়া কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বার্থে সমস্যা হচ্ছে বলেই আজ এ সব করা হচ্ছে। ওঁদের দাবিগুলিও ভিত্তিহীন।’’
তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘আইন ও নিয়ম মেনে পুরসভায় নিয়োগ ও বেতন বৃদ্ধি সব হয়ে থাকে। তাই কেউ অত্যাধিক দাবি করলে তো হবে না। চেয়ারম্যানকে বলেছি ওঁদের সঙ্গে বসে সেগুলি
নিয়ে আলোচনা করতে। প্রয়োজনে আমিও যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy