উত্তেজনা চরমে। ছবি: নির্মল বসু।
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে বসিরহাটের আমিনিয়া সিনিয়ার মাদ্রাসায় দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এবং ‘মাদ্রাসা শিক্ষা বাঁচাও কমিটি।’ বিক্ষোভকারীরা মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির কর্তা এবং শিক্ষকদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। যদিও নিয়োগে দুর্নীতির সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ওই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতি।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বসিরহাটের ওই মাদ্রাসায় কয়েকটি বিষয়ের জন্য শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হয়। ১১টি শূন্যপদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ জন। ইন্টারভিউ হয় ৩ মার্চ। ১০ মার্চ সফল ৯ জন শিক্ষকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। ১২ মার্চ তাঁরা ওই মাদ্রাসায় কাজে যোগ দেন। ২ জন শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাকি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে কয়েক জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং এক শিক্ষাকর্মীর ছেলেও রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১১টা নাগাদ ‘মাদ্রাসা শিক্ষা বাঁচাও কমিটি’র লোকজন এবং কিছু স্থানীয় বাসিন্দা বিক্ষোভ শুরু করেন। সদ্য চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে। কমিটির পক্ষে দাউদ আলি, জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, ‘‘মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আইনি জট চলছে। কিন্ত এর মধ্যে আদালত এবং আমাদের অন্ধকারে রেখেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ না করে কয়েক জনের থেকে টাকা নিয়ে অবৈধ ভাবে নিয়োগ হয়েছে।’’ অভিযোগকারীদের দাবি, এই নিয়োগ বাতিল করে স্বচ্ছতার সঙ্গে ফের পরীক্ষা নিতে হবে।’’ যদিও দুর্নীতির অভিযোগ মানেননি মাদ্রাসার পরিচালন কমিটির সম্পাদক আব্দুল হাসিম মণ্ডল। তাঁর দাবি, ‘‘স্বচ্ছতা বজায় রেখেই চাকরি দেওয়া হয়েছে।’’ ছেলের চাকরি পাওয়া নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সরিফুল আমিনের দাবি, ‘‘ছেলে চাকরি প্রার্থী হওয়ায় আমি পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। ইন্টারভিউ বোর্ডেও ছিলাম না। যাঁরা বলছে ছেলে বিটি কিংবা বিএড করেনি, তাঁদের আদালতে যেতে বলছি। আইনই এর উত্তর দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy