প্রতীকী ছবি।
মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে ভেসে উঠেছিল এক ব্যবসায়ীর ছবি। তাঁকে খুন করলে ৫০ হাজার টাকা মিলবে বলে ‘অফার’ এসেছিল। অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল তিন তরুণের হাতে।
পুলিশের কাছে আগে থেকে খবর থাকায় নজর রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের পাশে পানপুরে একটি পানশালায় ঢুকেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। রাস্তার পাশ থেকেই ধরা পড়ে সুনীল চৌধুরী, সানি সাউ ও সুরেশ সাউ। গোঁফের রেখা উঠেছে কি ওঠেনি, বন্দুকের নিশানায় তিনজনই তুখড়, দাবি তদন্তকারী অফিসারদের। তাদের কাছ থেকে দু’টি ওয়ান শটার, তিন রাউন্ড গুলি ও ২৩ কেজি গাঁজা মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সুনীল ও সানির নাম এর আগে একবার পুলিশের খাতায় উঠেছে। তবে সুরেশ অপরাধ জগতে একেবারেই আনকোরা। তিনজনই কাঁকিনাড়ার একটি গ্যারাজে কাজ করত। আশেপাশেই বাড়ি।
যাঁকে খুনের ছক কষা হয়েছিল, তদন্তের স্বার্থে এখনই তাঁর নাম জানাতে চায়নি পুলিশ। ওই ব্যবসায়ীর বিশেষ পরিচিত কারও হাত আছে এর পিছনে, এমনটাই অনুমান গোয়েন্দাদের।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘শিকারের ছবি দেখিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল এদের হাতে। পুলিশ নজর রেখেছিল। মোক্ষম সময়ে তিনজনকে ধরে ফেলা হয়।’’
পুলিশ জানিয়েছে, সুনীলের কাছে ছিল ‘টার্গেটের’ ছবি। সুনীল ও সানি দু’টি ওয়ান শটারে কার্তুজ ভরে তৈরি ছিল। দু’দিন ধরে ওই ব্যবসায়ীর গতিবিধি নজরে রেখেছিল তিনজন। নিয়মিত সন্ধ্যায় পানশালায় গিয়ে সময় কাটানোর নেশাটা আছে ওই ব্যক্তির, সে কথা জেনে গিয়েছিল। ঠিক করে, পানশালা থেকে বেসামাল অবস্থায় বেরোলে তখনই গুলি চালাবে। হাইওয়ে ধরে পালানো সহজ হবে। তবে পালানোর জন্য গাড়ি জোগাড় করেছিল কিনা, তা জানতে পারেননি গোয়েন্দারা। তবে অনুমান, গ্যারাজে কাজের সুবাদে গাড়ি জোগাড় করাটা কোনও ব্যাপার ছিল না সুনীলদের পক্ষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy