প্রতীকী ছবি।
সন্ত্রাস নয়, সম্প্রীতিই সমাজের মূল চালিকা শক্তি— এই বার্তা নিয়ে হাজির ক্যানিংয়ের বড় পুজো মণ্ডপগুলি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষ পুজো পরিচালনা করছেন।
ক্যানিংয়ের মিঠাখালি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির এ বার থিম ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’। দায়িত্বে আছেন মহিলারা। সংসার সামলে স্বপ্না দাস, রত্না ঘরামি, শেখ মমতাজরা পুজোর সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বৃন্দাবনের মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। মৃৎশিল্পী সজল ঘোষ বাঁশকাটি চাল দিয়ে তৈরি করছেন প্রতিমা।
গোলকুঠি পাড়া মিলনী সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোও মহিলা পরিচালিত। দায়িত্বে কাকলি মণ্ডল, সুপ্রিয়া সা, সুস্মিতা মজুমদার, সেরিনা খানরা। উৎসাহ তুঙ্গে।
মহিলারা জানালেন, তাঁদের থিম, অশরীরী আত্মা। জীবন্ত মানুষ ভূতের অভিনয় করবে। হানা বাড়ির আদলে মণ্ডপ। ম্যানগ্রোভ অরণ্য বাঁচাতে উদ্যোক্তারা ১০০টি গরিব পরিবারের হাতে বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ তুলে দেবেন। উদ্যোক্তারা আরও জানান, ভুত দেখেনি অথচ কল্পনা করে মানুষ ভুতের ভয় পান। অথচ মানুষরূপী ভুতের জন্য দিল্লির অভয়া-কাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে। মানুষকে সচেতন করতে তাই তাঁদের উদ্যোগ।
সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছে ক্যানিং হাসপাতাল পাড়া ও জয়দেবপল্লি নবারুণ সঙ্ঘের পুজো কমিটিও। হাসপাতাল পাড়ার থিম, পরিবেশ বাঁচাও। জঙ্গলের ফল, পাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। জয়দেবপল্লি নবারুণ সঙ্ঘের মণ্ডপে থাকবে পাটের নানা কারুকাজ। পাটশিল্পের গৌরব ফিরিয়ে আনতেই তাঁদের এই উদ্যোগ বলে জানালেন উদ্যোক্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy