প্রতীকী ছবি
বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে সরকারি কর্মী পরিচয় দিয়ে নম্বর প্লেট লাগিয়ে দিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন লোক। বদলে দিতে হচ্ছে ২০ টাকা। রসিদও মিলছে। কিন্তু তাতে লেখা রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থার নাম।
দিন কয়েক ধরে জয়নগরের দক্ষিণ বারাসত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যেকটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটছে। বাড়িতে নম্বর প্লেট লাগানোর জন্য কেন ২০ টাকা করে দিতে হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা সাগর সাহা জানান, কয়েকজন লোক এসে প্রথমে নানারকম প্রশ্ন করলেন। কটা গ্যাস, কটা কলের লাইন, কটা ডিজিটাল রেশন কার্ড— এই সব জানতে চাইলেন। জিজ্ঞেস করতে বললেন কেন্দ্রীয় সরকারের ‘স্বচ্ছ ভারত’ সমীক্ষা চলছে। তারপর একটা নম্বর প্লেট লাগিয়ে ২০ টাকা নিয়ে গেলেন। একই বাড়িতে একাধিক পরিবার থাকলে সবার কাছ থেকেই নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা করে। তবে কেউ দিতে না চাইলে, তার কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। সে ক্ষেত্রে লাগানো হয়নি নম্বর প্লেটও।
দক্ষিণ বারাসত গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে এরকম প্রস্তাব নিয়ে আসে একটি সংস্থা। বিডিওর তরফে সমীক্ষা করা হবে শুনে তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নারায়ণীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক সাহা বলেন, ‘‘বাড়িতে বাড়িতে নম্বর প্লেট লাগানোর প্রস্তাব নিয়ে একটি সংস্থা কয়েকদিন আগে আমাদের কাছেও এসেছিল। কিন্তু আমরা রাজি হইনি।’’
একই কথা জানিয়েছেন জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুজিত সরখেল। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু আমরা করতে দিইনি। পুর এলাকায় প্লেট লাগাতে হলে পুরসভা থেকেই লাগানো হবে। অন্য কোনও সংস্থাকে দিয়ে টাকার বিনিময়ে লাগাব কেন?’’ বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান বারুইপুরের এসডিও দেবারতি সরকার।
জয়নগর ১-র বিডিও নৃপেন বিশ্বাস জানান, এরকম একটি সমীক্ষা হচ্ছে বলে তিনি জানেন। টাকা নেওয়ার ব্যাপারটা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি। জেলাস্তর থেকে একটি নির্দেশিকা এসেছে। একটি সংস্থার মাধ্যমেই এই কাজ হবে। বিডিও বলেন, ‘‘সেই নির্দেশিকা দেখেই অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকটি জায়গা থেকে বেশি টাকা তোলার অভিযোগ উঠছে। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য সব পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy