ছ’বছরের একটি শিশুকন্যাকে খুন করে দেহ লোপাটের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কাকদ্বীপ এডিজে আদালত। ন’বছর ধরে মামলা চলার পরে শুক্রবার এই রায় ঘোষণা হল। যদিও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা হাইকোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন।
পুলিশ জানায়, জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলছিল ঢোলাহাট থানার কৌতলার দুই প্রতিবেশী পরিবার প্রমোদ বাজখাঁ এবং দীপক বাজখাঁর মধ্যে। তা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাও ছিল। ২০০৮ সালে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় প্রমোদবাবুর মেয়ে অষ্টমী। থানায় ডায়েরি হয়। ওই বছরের শেষের দিকে পাড়ার একটি জমি থেকে মেয়ের কঙ্কাল উদ্ধার হয়।
গ্রামেরই বাসিন্দা দীপক এবং তার আরও এক ঘনিষ্ঠ অশোক প্রামাণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার হয় দু’জন। কিন্তু তখন দেরিতে চার্জশিট জমা হওয়ার জেরে জামিন পেয়ে যায় তারা। জামিনেই ছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মামলার শুনানির পরে শুক্রবারই দোষী সাব্যস্ত হয় দীপক। বাচ্চা মেয়েকে খুন করে ধানের জমিতে গর্ত খুঁড়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল দেহটি। আদালতের কাছে প্রমাণ হয়েছে, এ কাজ দীপকই করেছিল। যদিও প্রমাণের অভাবে অশোক বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছেন। শুক্রবার কাকদ্বীপ আদালতে ওই রায় ঘোষণা করেন এডিজে বিচারক পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী। সরকারি আইনজীবী গুরুপদ দাস এবং দেবাশিস দাস বলেন, ‘‘নিখোঁজ হওয়ার ঠিক আগে পাড়ার এক শনিমন্দিরের কাছে খেলছিল বাচ্চাটি। সে সময়ে দীপক সেখানে ছিল বলে আদালতের কাছে সাক্ষী দিয়েছেন চারজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy