এই ঘর থেকেই দেহ উদ্ধার হয়েছে। ইনসেটে, মৃত কিরণমালা সাধুখাঁ। —নিজস্ব চিত্র।
বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে এক মহিলা আইনজীবীর পচা-গলা দেহ উদ্ধার হল সোমবার। পুলিশ জানিয়েছে, কিরণমালা সাধুখাঁ (৩৬) নামে ওই আইনজীবী বারাসত ও ব্যারাকপুর কোর্টে ওকালতি করতেন। শ্যামনগরের বাসুদেবপুর রোডের একটি আবাসনের একতলার ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। বিবাহিতের মতো সিঁদুর শাঁখা পরলেও তাঁর স্বামী পরিচয় জানেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে বারাসত আদালতের এক মাঝবয়সী আইনজীবীর সঙ্গে কিরণমালাদেবীর ঘনিষ্ঠতার কথা জানতেন আইনজীবীদের অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানান, মাঝে মধ্যেই ওই আইনজীবীকে কিরণমালাদেবীর ফ্ল্যাটে যেতেও দেখা যেত।
সোমবার সকালে এই আবাসনের সামনে দিয়ে লোকজনই দুর্গন্ধ পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দা পাপিয়া দাস বলেন, ‘‘এই আবাসনটি নতুন হয়েছে। এখনও সব ফ্ল্যাটে লোকজন আসেনি। খুঁজতে গিয়েই নীচের তলার ফ্ল্যাটটি থেকেই দুর্গন্ধ আসছে বলে মনে হয়। দরজা বন্ধ থাকায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়।’’ জগদ্দল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ওই আইনজীবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দিন দু’য়েক আগেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই আইনজীবীর। বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই মহিলা। প্রাথমিক ভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।’’
কিরণমালাদেবীর নিজের বাড়ি শ্যামনগর নতুন গ্রামে। সেখানে তাঁর মা ও ভাই থাকেন। তাঁরা কেউই এই ঘটনায় মুখ খুলতে চাননি। পুলিশ ওই আইনজীবীর মোবাইল ঘেঁটে কিছু নম্বর পেয়েছে। ওই ফোনে শেষ কথোপকথন শুক্রবার রাতে হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে কিরণমালাদেবী যে অঞ্চলে থাকতেন, সেখানকার ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ঝুমা কুণ্ডু বলেন, ‘‘ওই আইনজীবীর কাছে একজন মাঝবয়সী আইনজীবীকে আসতে দেখেছি আমরা। কিন্তু ওঁর স্বামীর কথা জানতে চাইলে কখনও বলতেন তিনি দুবাই থাকেন, কখনও বলতেন দিল্লিতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy