Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

ব্যবসায়ী মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব লক্ষ টাকা

গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চের মধ্যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কখনও ১০ হাজার, কখনও আট হাজার, কখনও ছ’হাজার, কখনও বা চার হাজার টাকা তোলা হয়েছে। এবং এক বারের জন্যও তাঁর মোবাইলে বার্তা আসেনি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ০১:৫৭
Share: Save:

আরও একটি ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনা। এ বার শিকার বারাসতের এক ব্যবসায়ী।

বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কাজল রায়চৌধুরী নামে ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বারাসত শাখায় তাঁর সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে কে বা কারা প্রায় এক লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছে তাঁর অজান্তেই। অন্য সময়ে তিনি টাকা তুললেই তাঁর মোবাইলে বার্তা আসে। কত টাকা তোলা হয়েছে বা কত টাকা অ্যাকাউন্টে রইল, সেই সমস্ত তথ্য থাকে ওই বার্তায়। কিন্তু গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চের মধ্যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কখনও ১০ হাজার, কখনও আট হাজার, কখনও ছ’হাজার, কখনও বা চার হাজার টাকা তোলা হয়েছে। এবং এক বারের জন্যও তাঁর মোবাইলে বার্তা আসেনি।

কী করে এমন হল?

কাজলদেবী ফোনে জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর মেয়ে শিল্পা ওই অ্যাকাউন্টটি যৌথ ভাবে খুলেছিলেন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাঁর মোবাইলে একটি বার্তা আসে। তা থেকে জানা যায়, তাঁর এটিএম কার্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। প্রতিটি কার্ডেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার মাস লেখা থাকে। নিজে অবশ্য সেটি খেয়াল না করেই ১১ জানুয়ারি এটিএম থেকে টাকা না তুলে কাজলদেবী ব্যাঙ্কে গিয়ে চেক মারফত ১০ হাজার টাকা তোলেন। তখনও সেখানে এক লক্ষের বেশি টাকা ছিল।

ওই টাকা তোলার কয়েক দিন পরে তিনি আবার ব্যাঙ্কে গিয়ে তাঁর এটিএম কার্ডের মেয়াদ ফুরনোর কথা জানান। কাজলদেবীর দাবি, ওই ব্যাঙ্কের এক কর্মী তাঁর এটিএম কার্ড ও পাসবই দেখতে চান। তাঁকে বলা হয়, বাড়িতে নতুন কার্ড পৌঁছে যাবে। কিন্তু কয়েক দিন অপেক্ষা করেও নতুন কার্ড না পেয়ে আবার ব্যাঙ্কে গিয়ে তাগাদা দেন কাজলদেবী। তার পরেও সেই কার্ড আসেনি।

গত ২৫ মার্চ আবার চেকবই নিয়ে ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে কাজলদেবী দেখেন, অ্যাকাউন্টে মাত্র ৪০০ টাকা পড়ে রয়েছে। পাসবই আপডেট করালে দেখা যায়, ৯ থেকে ৪ মার্চের মধ্যে দফায় দফায় প্রায় এক লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রথমে ব্যাঙ্কে ও পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কাজলদেবী। ব্যাঙ্কের ওই শাখার সিনিয়র ম্যানেজার বিশ্বনাথ মল্লিক বুধবার ফোনে বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। একাধিক এটিএম থেকে ওই টাকা তোলা হয়েছে। সেই সমস্ত এটিএমের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটা পেলেই জানা যাবে, কে বা কারা কাজলদেবীর টাকা তুলে নিয়েছেন।’’ এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করা হবে বলে ব্যাঙ্কের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হলেও কাজলদেবী কেন সেই বার্তা মোবাইলে পেলেন না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, বারাসত থানায় দায়ের করা ওই অভিযোগের প্রতিলিপি সাইবার থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Financial Fraud Financial Crime Bank Fraud Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE