ভরদুপুরে এক যুবক পিছু নেয় তাঁর। নিজেকে বাঁচাতে প্রথমে পালাতে চেষ্টা করেন ওই মহিলা। কিন্তু কিছুটা পথ গিয়েই দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। যুবকও তাঁর পিছনে। রাস্তার মধ্যেই বছর তিরিশের ওই মহিলার হাত ধরে টানাটানি করে ওই যুবক।
এরপরেই ঢিসুম ঢিসুম...ঢিপ!
তবে কিল-ঘুসি ছেলেটির তরফে নয়, ক্যারাটে জানা মহিলাই ততক্ষণে হাত-পা চালাচ্ছেন সপাটে। হতম্ভব যুবক কোনও মতে পালিয়ে বাঁচে। ধস্তাধস্তিতে অবশ্য চোট পেয়েছেন মহিলাও। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদের জামবেড়িয়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা টাকির বাসিন্দা। এ দিন দুপুরে তিনি বাড়ির পাশেই খেতে গিয়েছিলেন। তখন রবিউল গাজি নামে এক যুবক তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। রবিউল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে এলাকায় পরিচিত। ওই বধূর বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় তাঁর ননদ ও জা তাঁকে খুঁজতে বেরোন। রাস্তায় ওই মহিলার সঙ্গে রবিউলের ধস্তাধস্তি দেখতে পেয়ে তাঁরা চিৎকার করেন। তখন রবিউল তাঁদের উপরেও চড়াও হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু মহিলা রুখে দাঁড়ানোয় শেষমেশ পালায়। সোমবার ওই মহিলার স্বামী রবিউলের নামে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তিন মহিলাই টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছে। আক্রান্ত বধূ সিপিআইয়ের সদস্য। সে কারণেই রবিউল তাঁর উপরে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ সিপিআই নেতৃত্বের। দলের জেলা সম্পাদক ভ্রান্তি অধিকারী বলেন, ‘‘ভোটের পর থেকেই এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তৃণমূল। আমাদের কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওই পরিবার আমাদের দল করে দেখে আগেই ওঁদের পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নষ্ট করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সমিতির সভাপতি এসকেন্দর গাজি বলেন, ‘‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের কোনও কর্মীই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। এটি পারিবারিক বিবাদের ঘটনা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy