হাবড়া পুরসভার এই ব্যানার ঘিরেই বিতর্ক। — নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে এগিয়ে এসেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরা। আর পাঁচটা সংগঠনের মতো হাবড়া পুরসভাও পরীক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা কেন্দ্র খুলেছে। তাতে লাগানো রয়েছে পেল্লায় ব্যানার। যে ব্যানারে হাসিমুখে পরীক্ষার্থীদের ‘বেস্ট অফ লাক’ জানাতে দেখা যাচ্ছে জেলবন্দি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। লোকমুখে যিনি বালু নামে সমধিক পরিচিত। সেই পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের পাশাপাশি রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কোথাও পরীক্ষার্থীদের হাতে জল, বাতাসা, কোথাও গোলাপফুল আবার কোথাও পেন, পেনসিল তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ থেকে রাজনৈতিক দলগুলি। আর সেই শিবিরগুলির সামনে নিয়ম করেই থাকছে নেতানেত্রীদের শুভেচ্ছাপত্র সম্বলিত পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিং। তেমনই হাবড়া পুরসভার ফেস্টুনে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধল। বিরোধীদের অভিযোগ, নিজের সাংসদ কেন্দ্র বাদে অভিষেক সরকারের কোনও বিভাগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন। তিনি দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত। তাঁদের প্রশ্ন, হাবড়া পুরসভার ব্যানারে অভিষেকের ছবি কেন? প্রশাসনের প্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং স্থানীয় সাংসদ কাকলির ছবি নিয়ে আপত্তি নেই কারও। তবে সমস্যা হচ্ছে অভিষেক এবং সর্বোপরি বালুর হাসিমুখের ছবি ঘিরে। বিজেপির প্রশ্ন, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর ব্যানারে জেলবন্দি বালুর ছবি দিয়ে আসলে কী বার্তা দিতে চাইছে পুরসভা?
বিজেপি নেতা বিপ্লব হালদার বলেন, ‘‘বিজেপি প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানায়। মুখ্যমন্ত্রী বা সাংসদের ছবি শুভেচ্ছা ব্যানারে থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে? তাঁর ছবি কেন সরকারি ব্যানারে থাকবে? তিনি যুবরাজ, শুধুমাত্র এই কারণেই পুরসভার ব্যানারে ছবি থাকতে হবে? আরও একটি কথা হল, দেখলাম, ব্যানারে হাসিমুখে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয়। তিনি রয়েছেন জেলে, তাঁর ছবি দিয়ে কী বোঝানো হচ্ছে? বিজেপি এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। ছাত্রছাত্রীরা যেন এ বিষয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পরীক্ষা খারাপ না দেয়, এটাই আবেদন।’’ পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসকদল। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘বিরোধীরা কী বললেন, তাতে আমাদের কিছু আসে-যায় না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সাংসদ। আমাদের দলের সর্বভারতীয় স্তরের নেতা। তাই ওঁর ছবি দেওয়া হয়েছে। এতে কোনও বিতর্ক নেই। ভাল কাজ কিছুই এঁদের চোখে পড়ে না। মিথ্যাচার করে পুরসভার পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য যে যে পজ়িটিভ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলি থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরানো যায় না। এটা বিজেপি-সহ বিরোধীদের বোঝা উচিত।’’
সব মিলিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা শিবির চালু হলেও, সেখানে লাগানো ব্যানারের চরিত্রদের নিয়েই তুঙ্গে বিতর্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy