দেশের মধ্যে আইটিআই পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম হলেন ক্যানিংয়ের তালদির বাসিন্দা পরভিন সুলতানা। গৃহশিক্ষকের সাহায্য ছাড়াই ‘মেকানিক ডিজ়েল ট্রেড’-এ ৬০০ নম্বরের মধ্যে সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষায় সে ৫৯৯ নম্বর পেয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। সম্প্রতি দিল্লি থেকে প্রশংসাপত্র পেয়েছে পরভিন।
এত ভাল ফল করেও মন ভাল নেই মেয়ের। বাবা তাজিউর রহমান সর্দার তালদি মাছের আড়তে দিনমজুরির কাজ করেন। মা রিজিয়া বিবি সংসার সামলান। আর্থিক সমস্যায় দিন কাটে। পরভিনের ইচ্ছে, আরও পড়াশোনা করবে। কিন্তু পরিবারের অনটন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নিজে কোনও কাজ করে পড়াশোনার খরচ সামলানোর চেষ্টা করছেন তিনি। পরভিন বলেন, ‘‘অনলাইনে পড়াশোনা করে এবং কলেজের শিক্ষকদের সাহায্যেই এই ফল হয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য আরও ভাল কিছু করতে চাই। কিন্তু বাবার রোজগার খুবই সামান্য। এই পরিস্থিতিতে একটা চাকরি যদি পাই, তা হলে নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই চালাতে পারব।’’
রিজিয়া বলেন, “মেয়ে এত ভাল ফল করেছে বলে পরিবারের সকলেই খুশি। ও আরও পড়তে চায়, কিন্তু প্রচুর টাকার দরকার সে জন্য।’’ তাজিউরের কথায়, ‘‘মেয়ে ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল। কিন্তু বাবা হয়ে ওর পাশে সে ভাবে দাঁড়াতে পারিনি কখনও। সরকার যদি একটু পাশে থাকে, তা হলে উপকৃত হই।’’
তালদি মৎস্য আড়তের সম্পাদক অমলকৃষ্ণ নস্কর বলেন, ‘‘আমরা পরভিনের পাশে আছি, ও আমাদের সকলের গর্ব।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)