নৈহাটিতে এক তৃণমূল কর্মী খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার বদল। সরানো হল আইপিএস অফিসার অলোক রাজোরিয়াকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে পেয়েছেন অজয় ঠাকুর। ডিআইজি র্যাঙ্কের ওই আইপিএস অফিসার এর আগে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) ছিলেন। কিছু দিন কমিশনারের দায়িত্বও সামলেছেন। কারা বিভাগের ডিআইজি হিসাবে কর্মরত অজয়কে শনিবার থেকে ব্যারাকপুরের সিপির দায়িত্ব দিল নবান্ন। অন্য দিকে, অলোককে সরিয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের ডিজির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, এসপি (ট্র্যাফিক) থেকে সরিয়ে আইপিএস অফিসার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব। নবান্ন যদিও বিষয়টিকে ‘রুটিন বদলি’ হিসাবেই জানিয়েছে। তবে ব্যারাকপুরে একের পর এক গুলি এবং বোমাবাজির ঘটনার প্রেক্ষিতে এই রদবদল যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েক মাসে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় একের পর এক অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে একাধিক গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে। গত জানুয়ারি মাসে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের অফিসের কাছে পাইপ রোডে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন মহম্মদ ইমদাদ নামে স্থানীয় এক যুবক। ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে হলেও রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়েছিল। শুক্রবারও নৈহাটিতে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সন্তোষ ঠাকুর নামে ৩৫ বছরের এক যুবক। এর পর কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে নৈহাটির গৌরীপুর এলাকা। ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক অভিযোগ করেন, এলাকার প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ঠ এই ঘটনার আততায়ী। থারুয়া রাজেশ নামে এক জনের নামও তিনি উল্লেখ করেন। অভিযোগ উড়িয়ে অর্জুন জানান, জমি দখলদারি নিয়ে এই খুনোখুনি। এর আগে রাজেশের উপর হামলা হয়েছিল বলেও দাবি করেন প্রাক্তন সাংসদ। এই শোরগোলের মধ্যে ব্যারাকপুরের সিপি-বদল।
আরও পড়ুন:
কলকাতার বর্তমান পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা ব্যারাকপুরের কমিশনার থাকার সময় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য তৈরি বিশেষ সুরক্ষা কমিটিতে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সেই সময় অজয়কে কিছু দিনের জন্য ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার করে নিয়ে আসা হয়। ডিআইজি র্যাঙ্কের আধিকারিক অলোক পরে ব্যারাকপুরের সিপি হন।