উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি। — নিজস্ব চিত্র।
প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুন করে দেহ ছ’টুকরো করেছিলেন তাঁর স্ত্রী শ্যামলী এবং ছেলে জয়। এর মধ্যে উজ্জ্বলের মাথা, কোমর, দু’টি পা-সহ ৪টি টুকরোর সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। তবে এখনও উজ্জ্বলের ২টি হাতের কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। রবিবার জয় এবং শ্যামলীকে নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের ডিহি মদন মাল্লো এলাকার একটি পুকুর এবং তার আশপাশের ঝোপে সন্ধান চালান তদন্তকারীরা। সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে উজ্জ্বলের কোমরের অংশ।
রবিবার সকালে বারুইপুরের ডিহি মদন মাল্লো এলাকায় জয়কে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। সেখানে তাঁকে নিয়ে পুকুর এবং পুকুর সংলগ্ন এলাকায় চালানো হয় তল্লাশি। পুলিশের দাবি, জেরায় জয় জানিয়েছেন, কাঠ কাটা করাত দিয়ে তিনি তাঁর বাবাকে মোট ছ’টি টুকরোয় কেটেছিলেন। এর পর উজ্জ্বলের দেহাংশ সে ছড়িয়ে দেন পুকুর এবং পুকুর সংলগ্ন এলাকায়। তিনি কাঠ কাটা করাতটিও পুকুরে ফেলে দেন বলে জেরায় জানিয়েছেন, এমনটাই দাবি পুলিশের। উজ্জ্বলের দেহাংশ এবং সেই করাতের সন্ধানে পুকুরে নামানো হয় ডুবুরি। তল্লাশি চালানো হয় আশপাশের জঙ্গলেও। জঙ্গল থেকে পাওয়া যায় উজ্জ্বলের কোমরের অংশটি। ঘণ্টাখানেক চলে তল্লাশি। তবে উজ্জ্বলের হাত দু’টির কোনও খোঁজ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
রবিবার জয় এবং শ্যামলীকে আদালতে হাজির করানোর দিন ছিল। ফলে ঘণ্টাখানেক ধরে তল্লাশি চালানোর পর জয়কে নিয়ে আদালতে যায় পুলিশ। জয় এবং শ্যামলীকে ১২ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের রাতে প্রথমে মারধর করা হয় উজ্জ্বলকে। তার পর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এর পর উজ্জ্বলের দেহ শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে করাত দিয়ে কেটে ছয় টুকরো করেন জয়। তাঁকে সাহায্য করেন শ্যামলী। গভীর রাতে শ্যামলী এবং জয় উজ্জ্বলের মাথা থেকে পেট পর্যন্ত দেহাংশ নিয়ে সাইকেলে চড়ে পুকুরে ফেলে আসেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের আরও দাবি, উজ্জ্বলকে খুনের রাতে ৩ বার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন জয়। প্রথম বার তাঁর সঙ্গে ছিলেন মা শ্যামলী। এর পরের দু’বার জয় একা গিয়ে তাঁর বাবার দু’টি কাটা হাত এবং কোমরের অংশ জঙ্গলে ফেলে দিয়ে যান। পরে উজ্জ্বলের দেহের যে অংশ পুকুরে ফেলা হয়েছিল তা ভেসে ওঠে। এর পরই প্রকাশ্যে আসে হাড়হিম করা ওই হত্যাকাণ্ডের কথা। যা শুনে স্তম্ভিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy