উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় দোলের দিন দোকান না-খোলায় এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, তাঁর দোকানে ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আঙুল উঠেছে তৃণমূলের প্রধান এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা বাগদা থানার দ্বারস্থ হন। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
থানায় ওই মহিলার করা অভিযোগের সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগদা কৃষক বাজারের সামনে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পার্টি অফিসের উল্টো দিকে রয়েছে তাঁদের দোকান। অভিযোগ, সেই দোকানের সামনে প্রতি দিন মদ্যপান করেন বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের অনুগামীরা। সম্প্রতি সেই দোকানের সামনে বসতে বারণ করেছিলেন মালিক রাজু বিশ্বাস। দোলের দিন তিনি ঘর থেকে বেরোতেই তাঁকে ধরে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি কেন দোকান খোলেননি, সেই নিয়ে অভিযোগ করে মারধরও করা হয়। মহিলা আঙুল তুলেছেন বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিত সর্দারের অনুগামীদের দিকে। আরও অভিযোগ, রাজুকে বাঁচাতে গেলে তাঁর স্ত্রীকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। মহিলা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করে সঞ্জিত ইট নিয়ে আক্রমণ করেন। ভাঙচুর করা হয় রাজুর দোকান। মহিলার অভিযোগ, হামলাকারীরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন।
আরও পড়ুন:
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম শুভেন্দু মণ্ডল। তিনি দাবি করেন, এক জন প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারধর করছিলেন দোকান মালিক। তিনি ঠেকাতে গেলে তাঁকেও মারধর করেন রাজু। তিনিও রাজুর বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন। যদিও এই বিষয়ে বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিত কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এই বিষয়ে বনগাঁ জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।’’