Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

ঘুটিয়ারি শরিফে সেতুতে ‘ফাটল’, আতঙ্কে বাসিন্দা

চালু হওয়ার এক বছরের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে ঘুটিয়ারিশরিফের মাকালতলা সেতুতে, এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার ঘুটিয়ারিশরিফের বাঁশড়া পঞ্চায়েতের সঙ্গে নারায়ণপুর পঞ্চায়েত, ঘুটিয়ারি শরিফের সঙ্গে ঘটকপুকুর, ঘুটিয়ারিশরিফের সঙ্গে গৌড়দহ স্টেশন এবং ক্যানিং-বারুইপুর রোড়ের সঙ্গে অন্যতম সংযোগকারী সেতু এটিই।

এই সেই ‘ফাটল’। —নিজস্ব চিত্র।

এই সেই ‘ফাটল’। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ক্যানিং শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৫ ০০:৩৬
Share: Save:

চালু হওয়ার এক বছরের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে ঘুটিয়ারিশরিফের মাকালতলা সেতুতে, এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার ঘুটিয়ারিশরিফের বাঁশড়া পঞ্চায়েতের সঙ্গে নারায়ণপুর পঞ্চায়েত, ঘুটিয়ারি শরিফের সঙ্গে ঘটকপুকুর, ঘুটিয়ারিশরিফের সঙ্গে গৌড়দহ স্টেশন এবং ক্যানিং-বারুইপুর রোড়ের সঙ্গে অন্যতম সংযোগকারী সেতু এটিই। সেতু তৈরির ঠিকাদার করিম গাজি বলেন, ‘‘সেতুতে ফাটল ধরেছে শুনে নিজে দেখে এসেছিলাম। নানা সমস্যার কারণে সেতুর দুই মাথায় গার্ডওয়াল সে সময়ে করা যায়নি। খালের দু’পাড় বাঁধানো হলে মাটির ধস নামা বন্ধ হয়ে যাবে। তা হলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।’’ ক্যানেল বিভাগের সহকারী বাস্তুকার কৌশিক মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ওই সেতুতে যে ফাটলের কথা বলা হচ্ছে, তা আসলে গার্ডার ও পিলারের মধ্যে থাকা ফাঁক। এ নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ নেই।’’

২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই সেতুর উদ্বোধন করেন। সেচ ও জলপথ বিভাগের ডাবু নিকাশি খালের সঙ্গে সংযোগকারী ঘুটিয়ারিশরিফের নিকাশি খালের উপর ৭.৫৫ মিটার লম্বা ও ৫.৫০ মিটার চওড়া এই সেতুটি। সেচ ও জলপথ বিভাগের উদ্যোগে এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৭৭ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮৮৭ টাকা।

অভিযোগ, সেতু তৈরি হওয়ার পর থেকেই এখানে বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে যায়। তা ছাড়া, এক বছরের মধ্যে সেতুর নীচের পিলারে ফাটল ধরেছে। এক বছরের মধ্যেই যদি সেতুর এই অবস্থা হয়, তা হলে আগামী দিনে কী হবে, আশঙ্কায় আছেন স্থানীয় মানুষ। রাজ্জাক দেওয়ান ও শেলিমা বিবিরা বলেন, ‘‘হঠাৎ করে ওই সেতুর নীচে একটা ফাটল দেখা যায়। যা আগে ছিল না। যত দিন যাচ্ছে, ফাটলটা বড় হচ্ছে। তা ছাড়া, খাল পাড়ে মাটির ধস নামছে। প্রশাসন যদি নজর না দেয়, তা হলে সেতু আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সেতু নির্মাণের সময়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা টাকা চেয়ে ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে ঝামেলা করেছিল বলে অভিযোগ। এমনকী, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সেতু তৈরির লোহার রড, সিমেন্ট চুরির অভিযোগও উঠেছিল। পরে পুলিশ ওই নেতার বাড়ি থেকে রড়, সিমেন্ট উদ্ধার করে। এ কারণে খারাপ ইমারতি দ্রব্য দিয়ে সেতু তৈরি হয়েছে কিনা, সে প্রশ্নও তুলছেন বাসিন্দারা।

অন্য বিষয়গুলি:

Ghutiari Ghutiari Sharif bridge Rajib Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE