Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

জল কিনে জেরবার গ্রামবাসী

ঢোলাহাটের শঙ্করপুরের কয়েকটি গ্রামের মহিলারা এখন এ ভাবেই জল সংগ্রহ করছেন। পানীয় জলের পাইপ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কথা পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধান চিত্তরঞ্জন হালদার আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত জলের ব্যবস্থা হবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢোলাহাট শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:২৫
Share: Save:

এক কলসি জলের জন্য গুণতে হবে ১০ টাকা।

ঢোলাহাটের শঙ্করপুরের কয়েকটি গ্রামের মহিলারা এখন এ ভাবেই জল সংগ্রহ করছেন। পানীয় জলের পাইপ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কথা পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধান চিত্তরঞ্জন হালদার আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত জলের ব্যবস্থা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘পুরোটা সারাতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। পঞ্চায়েতের তরফে সেই পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। পাম্পটি দ্রুত সারানো হবে। পাইপলাইন সারানো হবে কিছু দিনের মধ্যেই।’’

২০০১ সালে শুরু হয় শঙ্করপুরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পানীয় জল প্রকল্প। ঢোলাহাট-রামগঙ্গা রোড থেকে অনেকটা দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে সেই জলের লাইন। কিন্তু বছর তিনেক আগে একাধিক জায়গায় পাইপ ফেটে খুলে গিয়েছে। দু’টি পাম্প চালানো হত। তার একটি আবার খারাপ হয়ে গিয়েছে সপ্তাহ দু’য়েক আগে। তার জেরে সমস্যায় এলাকার প্রায় ৮ হাজার মানুষ। দক্ষিণ বিরামপুরের সাবেরা খাতুন বলেন, ‘‘বাড়িতে রোজ ৭ কলসি জল প্রয়োজন হয়। এক কলসি জল বয়ে আনার জন্য লোকজনকে ১০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। এ ভাবে কত দিন চালানো যায়।’’

শঙ্করপু‌র পঞ্চায়েতের ওই গ্রামটি ছাড়াও পূর্ব শঙ্করপুর, দক্ষিণ হরিণডাঙা এবং আঁধারমানিক গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষের কাছে এই জল প্রকল্পটিই একমাত্র ভরসা। কিন্তু দীর্ঘ দিন থেকে তা সারানো হচ্ছে না।

পূর্ব শঙ্করপুরের বাসিন্দা হেদায়েতুল্লা গাজি বলেন, ‘‘প্রায় এক কিলোমিটার দূরের টিউবওয়েল থেকে গিয়ে পানীয় জল আনতে হচ্ছে। খুবই সমস্যায় রয়েছি।’’

এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তার ধার থেকে জল পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কোনও কোনও দিন জল নেই। কোথাও ট্যাপের মুখে স্টপকক গায়েব। তাই জল উঠলেও তা পড়ে নষ্ট হচ্ছে। একটি মাত্র পাম্পের সাহায্যে রাস্তার ধারের কয়েকটি ট্যাপকল থেকে জল সরবরাহ হয়। কিন্তু তা-ও বেশিরভাগ দিনই সময়ে হয় না। এলাকায় সারা দিনে তিনবার জল দেওয়ার কথা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE