Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

৩ দিন বন্‌ধ নার্সিংহোমে

নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে রমরমিয়ে চলছে নার্সিংহোম ব্যবসা। কোথাও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, কোথাও নেই পাশ করা ডাক্তার বা নার্স, কোথাও বা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজনও মনে করেনি কারবারিরা।

তালা: বাসন্তীর মুনলাইট নার্সিমহোম সিল করা হচ্ছে। ছবি: সামসুল হুদা

তালা: বাসন্তীর মুনলাইট নার্সিমহোম সিল করা হচ্ছে। ছবি: সামসুল হুদা

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৭ ০১:২৫
Share: Save:

নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে রমরমিয়ে চলছে নার্সিংহোম ব্যবসা। কোথাও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, কোথাও নেই পাশ করা ডাক্তার বা নার্স, কোথাও বা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজনও মনে করেনি কারবারিরা।

একের পর এক যখন এই ধরনের বেআইনি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর, তখন এই অভিযান বন্ধ করার দাবি তুলে বন্‌ধ ডেকে বসল জেলা নার্সিংহোম ওনার্স অ্যাসোশিয়েশন। এই সংগঠনের অধীনে ১৩৮টি নার্সিংহোম রয়েছে।

ওই অ্যাসোশিয়েশনের সম্পাদক জাহির ইসলাল বলেন, ‘‘পর পর নার্সিংহোম বন্ধের প্রতিবাদে আমরা তিন দিনের নার্সিংহোম ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমার পর সোমবার ছিল সাগরে স্বাস্থ্যকর্তাদের অভিযান। তাতে কচুবেড়িয়ায় ওই হাতুড়ের চেম্বারে গিয়েই হোঁচট খান তাঁরা। এ দিন ওই চেম্বারে দেখা যায়, চার দিকে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ ছড়ানো রয়েছে, ভাঙা অ্যাম্পুল, মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ওষুধ। তার মধ্যেই রোগী ভর্তি থেকে অক্সিজেন দেওয়া সবই চলছে বিনা অনুমোদনে। চেম্বারের বর্জ্য দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভাঙাচোরা বিক্রিওয়ালাদের কাছে। স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, যে কোনও সময় ভয়ঙ্কর কোনও ছোঁয়াচে রোগ ছড়াতে পারে এলাকায়। রোগীদের সেখান থেকে বের করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এ দিন হানা দিয়ে গঙ্গাসাগরের হাতুড়ে রবীন দাসের বেআইনি চেম্বার বন্ধের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যকর্তারা। তার আগে ঘুরে দেখেন রুদ্রনগরের আইল্যান্ড নার্সিংহোম। তিন মাস আগে এই নার্সিংহোমের নানা গাফিলতির জেরে ওটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ দিন গিয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা দেখেন নিজেদের শুধরে নিয়েছে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। নথি, পরিকাঠামো সবই ঠিক করা হয়েছে। পাশেই আরোগ্য ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। তার নথিপত্র ঠিক নেই। ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে ওই ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে।

বৈধ কাগজপত্র না থাকায় জয়নগরের সুহিদ নার্সিংহোম সিল করে দিল প্রশাসন। একই কারণে স্পন্দন নামে একটি নার্সিংহোমকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কর্তারা জানান, স্পন্দনে রোগী ভর্তি থাকায় সরাসরি বন্ধ করা গেল না।

এ দিন বাসন্তীর মুনলাইট, সোনালি সেবা নিকেতন ও ক্যানিঙের আরোগ্য নিকেতন নার্সিংহোমে অভিযান চালান প্রশাসনিক কর্তারা। বন্ধ করে দেওয়া হয় এই নার্সিংহোমগুলিও। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই সব নার্সিংহোমগুলির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয় জেলা প্রশাসন থেকে। নার্সিংহোমের বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE