লরি ও মোটর ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল তিন জনের। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ এলাকার রুইয়ায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে ৫৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম শেখ রাজু (২৮), হেনা তবসসুম (১২) এবং সুইটি খাতুন (১০)। তাঁরা সকলেই খড়দহের মোড়লপাড়ার বাসিন্দা। শেখ রাজু ভ্যানের চালক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়দহে একটি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে মোটর ভ্যানে চেপে ৮-৯ জন মোড়লপাড়ায় ফিরছিলেন। রহড়া থেকে রুইয়ার মধ্যে দিয়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পরেই একটি বাঁকের কাছে একটি মারুতি গাড়িকে পাশ কাটাতে যায় ভ্যানটি। সে সময়েই উল্টো দিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে ছুটে আসা একটি লরি সজোরে ধাক্কা মারে মোটর ভ্যানে।
এর ফলে যাত্রীরা সকলে ছিটকে পড়েন রাস্তায়। শেখ রাজু, হেনা ও সুইটির উপর দিয়ে লরির চাকা চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান রাজু। বাকিদের ব্যারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় হেনা এবং সুইটির। পরে অন্য তিন যাত্রীকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। ভ্যানের বাকি যাত্রীদের অবস্থা স্থিতিশীল। দুর্ঘটনার পরেই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ব্যারাকপুরের দিকে পালিয়ে যায় লরিটি
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ওই জায়গায় আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক্সপ্রেসওয়ে সারানোর পরে গাড়ির গতি বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু সিঙ্গল লেন হওয়ায় ও বিভিন্ন জায়গায় বাঁক থাকায় সন্ধ্যার পর থেকে দুর্ঘটনা ঘটছে নিত্যদিনই। খাপছাড়া ভাবে রিফ্লেক্টর বসানোর কাজ শুরু হলেও তা থমকে আছে। এ ছাড়া, এক্সপ্রেসওয়ের দু’ধারের গাছ কেটে নেওয়ার পরেও থমকে আছে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (ট্রাফিক) দেবাশিস বেজ বলেন, “এক্সপ্রেসওয়েতে ভ্যান জাতীয় যানবাহন চলার কথা নয়। ঘাতক লরিটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy