Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪

সারদা চুক্তি নিয়ে সিবিআই জেরার মুখে রতিকান্ত

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আগেই তাঁকে ডেকে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা মিউজিক ও তারা চ্যানেলের প্রাক্তন প্রধান রতিকান্ত বসুকে এ বার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।

সিবিআই অফিসের বাইরে রতিকান্ত বসু এবং দেবাশিস দত্ত। বুধবার।—নিজস্ব চিত্র।

সিবিআই অফিসের বাইরে রতিকান্ত বসু এবং দেবাশিস দত্ত। বুধবার।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:০১
Share: Save:

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আগেই তাঁকে ডেকে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা মিউজিক ও তারা চ্যানেলের প্রাক্তন প্রধান রতিকান্ত বসুকে এ বার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সল্টলেকে সিবিআইয়ের দফতরে হাজির হন রতিকান্তবাবু। সিবিআই অফিসারেরা প্রায় ছ’ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বাইরে বেরিয়ে রতিকান্তবাবু জানান, কার্যত তাঁর সঙ্গেই সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি সম্পর্কে এ দিন বিস্তারিত ভাবে জানতে চান সিবিআই অফিসারেরা। কত টাকার চুক্তি হয়েছিল, তার মধ্যে সুদীপ্ত কত টাকা দিয়েছিলেন, বিশদ ভাবে জানতে চান গোয়েন্দারা।

চলতি মাসের প্রথম দিনে রতিকান্তবাবুকে জেরা করেছিল ইডি। ২০০০ সালের এপ্রিলে শুরু হয় তারা নিউজ, তারা মিউজিক, তারা পঞ্জাবি এবং টিভি সাউথ-এশিয়া। আসল সংস্থার নাম ছিল ব্রডকাস্ট ওয়ার্ল্ড লিমিটেড। সেখানে রতিকান্তবাবুর শেয়ার ছিল ১২ শতাংশ। সংস্থায় অধিকাংশ শেয়ার ছিল চেন্নাইয়ের শিব ভেঞ্চার নামে এক সংস্থার। ১৭-১৮ জন মালিক ছিলেন ওই চ্যানেলের। ২০১০ সালে সেই চ্যানেল কিনে নেন সারদা-প্রধান। তখন রতিকান্তবাবু ছিলেন সংস্থার চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি অনুযায়ী, ১৮ কোটি টাকায় ওই চারটি চ্যানেল কেনেন সুদীপ্ত। যদিও সেই টাকার একাংশ তিনি দিতে পারেননি। তার পরিবর্তে সুদীপ্ত একটি সম্পত্তি বন্ধক রাখেন চেন্নাইয়ের ওই সংস্থার কাছে। সারদা-প্রধান গ্রেফতার হওয়ার আগে সিবিআই-কে যে-চিঠি লিখেছিলেন, তাতেও তিনি একই কথা জানান। সেই চিঠিতে সুদীপ্ত দাবি করেন, চারটি চ্যানেল কেনার জন্য তিনি নগদে ১৬ কোটি টাকা দেন। বাকি ছিল প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

সারদা কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত অসমের গায়ক সদানন্দ গগৈকে এ দিন আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাঁকে শনিবার পর্যন্ত ফের সিবিআইয়ের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ১৩ সেপ্টেম্বর সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। সিবিআইয়ের আইনজীবী তাপস বসুর অভিযোগ, সারদা কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে অভিযুক্ত গায়ক নিজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েছিলেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি হৃদ্রোগী বলে তাঁকে জামিন দেওয়ার আবেদন জানান তাঁর আইনজীবীরা। তা খারিজ হয়ে যায়।

এ দিন সকালে মোহনবাগান ক্লাবের কয়েক জন কর্মকর্তা হাজির হয়েছিলেন ইডি-র দফতরে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তাঁদের জেরা করেন ইডি অফিসারেরা। পরে ক্লাবকর্তা দেবাশিস দত্ত জানান, এর আগেই ইডি ওই ক্লাবের হিসেব সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজপত্র চেয়েছিল। তা দেওয়াও হয়। এ দিনও আরও কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এক বছরের জন্য সুদীপ্তের সঙ্গে ক্লাবের দু’কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE