শঙ্খচূড় শিকার করে নিজেই বিপদে পড়ল কোমোডো ড্রাগন। বার বার ছোবল দিয়ে হিংস্র সরীসৃপকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল শঙ্খচূড়। মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ল নিজেও। সমাজমাধ্যমে দুই সরীসৃপের লড়াইয়ের এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
‘জ়ারনাব.লাসহরি’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক শঙ্খচূড়ের গায়ে কামড় বসিয়েছে একটি কোমোডো ড্রাগন। কামড়ের যন্ত্রণায় ছটফট করছে শঙ্খচূড়টি। ছাড়া পাওয়ার জন্য চেষ্টা করলেও বার বার ব্যর্থ হচ্ছে শঙ্খচূড়। কোমোডো ড্রাগনের গায়ে বার বার ছোবল বসাচ্ছে সে।
আরও পড়ুন:
কিন্তু কোমোডো ড্রাগন হাল ছাড়ার পাত্র নয়। এত সহজে শিকারের সুযোগ ছাড়বে না সে। শঙ্খচূড়ও নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। শেষ পর্যন্ত শঙ্খচূড়ের কামড় খেয়ে তাকে ছেড়ে দিল কোমোডো ড্রাগন। শিকারির হাত থেকে ছাড়া পেয়ে পালাতে গিয়েও রেহাই পেল না শঙ্খচূড়টি। তার লেজে আবার কামড় বসিয়ে টেনে ধরল কোমোডো ড্রাগনটি। উপায় না দেখে কোমোডো ড্রাগনের মুখে কামড় দিল শঙ্খচূড়টি। তাতেও বিশেষ লাভ হল না। শেষ পর্যন্ত কোমোডো ড্রাগনের পা কামড়ে সেখানে বিষ ঢেলে দিল শঙ্খচূড়। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ল কোমোডো ড্রাগন। শঙ্খচূড়ের উপরেই উল্টে শুয়ে পড়ল সে। বিষ ঢেলে হিংস্র সরীসৃপকে লড়াইয়ে হারিয়ে ফেলে নিজেও মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ল শঙ্খচূড়টি।
বিশ্বের ভীষণদর্শন সরীসৃপগুলির মধ্যে অন্যতম কোমোডো ড্রাগন। এই সরীসৃপের দৈর্ঘ্য সাধারণত তিন মিটারের কাছাকাছি হয়। ওজন হয় প্রায় ৭০ কেজি পর্যন্ত। বিশাল শরীর নিয়ে জঙ্গলের অন্য প্রাণীদের রীতিমতো দমিয়ে রাখে তারা। পাখি, স্তন্যপায়ী সব ধরনের প্রাণীকেই নিজের খাদ্য বানিয়ে নেয় এরা। কোমোডো ড্রাগনের আদি বাস ইন্দোনেশিয়ায়। এদের জন্য বনের হরিণ থেকে শূকর সবাই বেশ ভয়ে ভয়েই থাকে। এরা প্রতি ঘণ্টায় ১৫ মাইল বেগে ছুটতে পারে। এদের লালায় প্রায় ৫০ রকমের ব্যাক্টেরিয়া থাকে।