গত পাঁচ মাস ধরে অসহ্য মাথাব্যথায় ভুগছিলেন। কোনও ওষুধ খেয়েই কোনও লাভ হচ্ছিল না যুবকের। এর পর ডাক্তারের পরামর্শে সিটি স্ক্যান করাতেই পিলে চমকে গেল তাঁর। রিপোর্টে দেখে চমকালেন চিকিৎসকও। উঠে এল মাথাব্যথা হওয়ার আসল কারণ। কী সেই কারণ?
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ভিয়েতনামে। পাঁচ মাস ধরে তীব্র মাথাব্যথায় ভুগছিলেন ৩৫ বছর বয়সি এক যুবক। মুক্তি পেতে একাধিক ওষুধ খেতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। বরং অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে তাঁর। এর মধ্যেই নাক থেকে জলীয় পদার্থও বেরিয়ে আসতে দেখেন। কেন এমনটা হচ্ছে বুঝতে না পেরে শেষমেশ এক নামকরা চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন যুবক। চিকিৎসক তাঁকে সিটি স্ক্যান করানোর পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন:
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুবকের সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট হাতে পেয়েই চমকে যান চিকিৎসক। দেখেন, যুবকের মাথায় এক জোড়া ভাঙা চপস্টিক আটকে রয়েছে, যা তাঁর নাক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেছে! চিকিৎসকেরা এ-ও দেখেন যে, যুবকের মস্তিষ্কে বাতাস ঢুকেছে এবং এর জন্য যে কোনও সময় বড় বিপদ হতে পারে তাঁর। এর পরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে খবর। ওই যুবকের পরিচয় প্রকাশ্যে না এলেও জানা গিয়েছে, তাঁকে ভিয়েতনামের কোয়াং বিন প্রদেশের ডং হোইয়ে এলাকার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যদিও প্রাথমিক ভাবে তিনি বলতে পারেননি যে কী ভাবে ওই ভাঙা চপস্টিক জোড়া তাঁর মস্তিষ্কে প্রবেশ করল। পরে অনেক ভাবনাচিন্তা করে তিনি জানান, মাস পাঁচেক আগে মদ্যপান করে এক বার মারপিট করেন তিনি। আহতও হন। তাঁর ধারণা, মারপিট করার সময়ই কোনও ভাবে চপস্টিক ভেঙে তাঁর নাকে ঢুকে গিয়েছিল। কিন্তু মত্ত হওয়ার কারণে তিনি তা বুঝতে পারেননি।

ছবি: সংগৃহীত।
আরও পড়ুন:
ডং হোইয়ে এলাকার ওই হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ নগুয়েন ভ্যান ম্যান ঘটনাটিকে অত্যন্ত বিরল বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার করে ওই যুবকের মস্তিষ্ক থেকে চপস্টিক বার করা হয়েছে। যুবক এখন সুস্থ রয়েছেন এবং তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ভ্যান।