উল্লাস: ফাইনালে উঠে হালেপ ও চিলিচ। ছবি: এএফপি, গেটি ইমেজেস।
সেমিফাইনালটা শেষ করেই মারিন চিলিচ ফাইনালে রজার ফেডেরারের বিরুদ্ধে জেতার ছক কষা শুরু করে দিলেন।
বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে প্রত্যাশামতই ব্রিটেনের কাইল এডমুন্ডের স্বপ্নের দৌড় শেষ করে দেন ক্রোয়েশিয়ার চিলিচ স্ট্রেট সেটে। জেতেন ৬-২, ৭-৬ (৭-৪), ৬-২।
শুক্রবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রজার ফেডেরার উঠতি কোরীয় চমক সুং হেয়ানকে হারাচ্ছেন এটা কতটা প্রত্যাশিত সেটা চিলিচের ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে পরিষ্কার। ফেডেরারকে রোখার পরিকল্পনা বলে দিলেন ২০১৪ যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন। ‘‘রজার এখন সবসময় আক্রমণাত্মক খেলার জন্য তৈরি থাকে। দারুণ সার্ভিস করছে, বলটাও আরও দ্রুত মারছে। আমিও নিজের আগ্রাসী খেলার স্টাইলে সন্তুষ্ট। রজারকে কোর্টে সামলাতে আমি তৈরি,’’ বলেন গত বারের উইম্বলডন ফাইনালিস্ট। যেখানে ফেডেরারের কাছে তিনি হেরেছিলেন।
পুরুষদের সেমিফাইনাল এ দিন যে রকম এক তরফা ভাবে শেষ হল, ঠিক তার বিপরীত দৃশ্য মেয়েদের সিঙ্গলসের শেষ চারের লড়াইয়ে। প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন অ্যাঞ্জেলিক কের্বেরকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা লড়ে হারালেন সিমোনা হালেপ। ফল রোমানিয়ার তারকার পক্ষে ৬-৩, ৪-৬, ৯-৭। দু’বারের ফরাসি ওপেন রানার্স দু’বার ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে জেতেন। শনিবার ফাইনালে তাঁর মুখোমুখি ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। প্রাক্তন বিশ্বসেরা ড্যানিশ তারকা এখনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেননি। হালেপও তাই। প্রথম সেমিফাইনালে ওজনিয়াকি স্ট্রেট সেটে হারান এলিস মার্টেন্সকে। ৬-৩, ৭-৬ (৭-২)। ফাইনালে ওজনিয়াকি যদি জিততে পারেন তা হলে তিনিই এক নম্বরের সিংহাসনে বসবেন হালেপকে সরিয়ে।
মেলবোর্ন পার্কে আজ মেয়েদের সেমিফাইনালের দিকেই নজর ছিল অনেকেরই। বিশ্বের এক নম্বর হালেপ যে ভাবে দাপট দেখিয়ে এসেছেন সেটা কের্বের থামাতে পারেন কি না দেখার ছিল। যে কের্বের আবার মারিয়া শারাপোভাকে ছিটকে দিয়েছিলেন। প্রথম থেকেই ম্যাচে দাপট ছিল হালেপেরই। প্রথম সেট জিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় সেটে কের্বের ঘুরে দাঁড়ালেও তৃতীয় সেটে হালেপ ৫-৪ এগিয়ে থাকার সময় দুটো ম্যাচ পয়েন্টের সামনে চলে আসেন। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া হয় তাঁর। দু’টো গেমের পরে পরিস্থিতি উল্টে যায়। হালেপকেই তখন ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচাতে হতো না হারতে। শেষ পর্যন্ত দুরন্ত ফোরহ্যান্ডে ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে চার নম্বর প্রয়াসে ম্যাচও দখল করে নেন তিনি।
ম্যাচের পরে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ফাইনালে উঠে হালেপ বলেন, ‘‘খুব কঠিন ম্যাচ ছিল। আমি এখনও উত্তেজনায় কাঁপছি। আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘জানতাম চ্যালেঞ্জটা সোজা হবে না। অ্যাঞ্জেলিক খুব কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। কোর্টে খুব ভাল মুভ করছে, কোর্টে যে কোনও জায়গা থেকে হিট করতে পারছে, সবাইকে ধন্যবাদ আমাকে এ ভাবে সমর্থন করার জন্য।’’
এক সময়ে পিছিয়ে গিয়েও তিনি যে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পেরেছেন ম্যাচে সেটাই সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট করছে হালেপকে। তিনি বলেন, ‘‘আমি যে হাল ছেড়ে দিইনি এটাই সবচেয়ে বড় কথা। যদি আপনি লড়াই না ছাড়েন আপনি জিততে পারেন। নিজের উপরে তাই গর্বিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy