সিরিজটা খুব উত্তেজক জায়গায় দাঁড়িয়ে। একটা হার মানে ওয়ান ডে সিরিজটাও খোয়াবে ভারত। ভারতীয় অধিনায়কের জন্য চেন্নাই প্রায় ঘরের মাঠ। সেখানে মরণবাঁচন ম্যাচে দারুণ কিছু করতে চাইবে ধোনি।
রাজকোটে ভারতীয় বোলারদের পারফরম্যান্স অনেক উন্নত দেখালেও আমার মনে হয়, বোলিং আক্রমণে আরও গতি দরকার। টিমের ব্যাটিংও শুরুর দিকে ঠিকঠাক এগোচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত যে পারল না, তার কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার সাহসী বোলিং। নিয়ন্ত্রিত গতির সঙ্গে রিভার্স সুইং করাতে পারা যে কতটা প্রভাব ফেলে, সেটা দেখিয়ে দিল ওরা। মর্কেল সেরা, কিন্তু স্টেইন আর রাবাদা ওকে যে ভাবে সাপোর্ট করে গেল সেটা না থাকলে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের টুঁটি চেপে ধরা যেত না।
এবি ওর বোলারদের দারুণ ভাবে ব্যবহার করেছে। যে ভাবে বোলার রোটেট করেছে তাতে ভারতীয়রা ম্যাচ কেড়ে নেওয়ার সুযোগই পায়নি। ডেথ ওভারে ইমরান তাহিরকে দিয়ে বল করানোর ফাটকাটাও খেটে গেল। এ সব থেকে বোঝা যায় অধিনায়ক তার বোলারদের উপর কতটা আস্থা রাখে। ২৭০ মোটেও কঠিন টার্গেট নয়। কিন্তু রাজকোটের ওই পিচে চ্যালেঞ্জিং তো বটেই। বোলারদের সঠিক ব্যবহার না করতে পারলে হত না। যে কাজটা এবি খুব ভাল করল।
চেন্নাইয়ের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক তবে বোলাররাও ওখানে কিছু সাহায্য পাবে। চিপকে বাউন্স বেশি তাই স্ট্রোক খেলার বেশি সুবিধে। চেন্নাইয়ের গরম দক্ষিণ আফ্রিকানদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ভারতকে ভাল ব্যাটিং পিচ তৈরি করতে হবে। শুকনো পিচে দক্ষিণ আফ্রিকান বোলিং সামলানো কিন্তু কঠিন হয়ে যাবে। স্ট্রোক খেলাও সহজ হবে না।
সিরিজ কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। অতীতে অনেক বার এ রকম জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জিতেছে ভারত। ম্যানেজমেন্টের উচিত টিমের ব্যাটসম্যানদের জন্য ভাল সারফেস তৈরি করা। টস জিতলে আগে ব্যাটিং নিতে হবে। কারণ এ রকম সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে রান তাড়া করাটা বেশ কঠিন হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy