Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

জীবনের সেরা ইনিংস খেলে রাজধানীতে ঋষভ উদয়

সুরেশ রায়নার ব্যাটিং তাণ্ডব চলার সময় সম্ভবত কেউ ভাবতে পারেননি, ম্যাচের শেষে গুজরাত লায়ন্স অধিনায়কও আড়ালে চলে যাবেন!

জুটি: দিল্লিকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন যে দুই তরুণ। ঋষভ পন্থ (বাঁ দিকে) এবং সঞ্জু স্যামসন। বিসিসিআই

জুটি: দিল্লিকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন যে দুই তরুণ। ঋষভ পন্থ (বাঁ দিকে) এবং সঞ্জু স্যামসন। বিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ০৪:১৭
Share: Save:

সুরেশ রায়নার ব্যাটিং তাণ্ডব চলার সময় সম্ভবত কেউ ভাবতে পারেননি, ম্যাচের শেষে গুজরাত লায়ন্স অধিনায়কও আড়ালে চলে যাবেন! রায়নার বোলাররাও সম্ভবত ভাবতে পারেননি যে, দুই তরুণ ভারতীয় প্রতিভার আক্রমণের সামনে স্রেফ চূর্ণ হয়ে যাবেন তাঁরা।

ঋষভ পন্থ এবং সঞ্জু স্যামসন। নতুন প্রজন্মের দুই মুখ। যাঁদের সামনে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়। যাঁদের ব্যাট সমীহ করে না কোনও বোলারকেই। বৃহস্পতিবার গুজরাত ২০৮-৭ স্কোর তুলে দেওয়ার পরে যখন মনে হচ্ছিল, দিল্লির সামনে আরও একটা লজ্জার হার অপেক্ষা করছে, দুই তরুণের পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়। দু’জনের জুটিতে ওঠে ১০.৩ ওভারে ১৪৩ রান। স্যামসন যখন আউট হলেন, তাঁর স্কোর ৩১ বলে ৬১। মারেন সাতটা ছয়।

উল্টো দিকে ঋষভ তখন সম্ভবত জীবনের সেরা ইনিংসটা খেলে যাচ্ছেন। একের পর এক ছয় আছড়ে পড়ছে কোটলার বিভিন্ন প্রান্তে। শেষ পর্যন্ত উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়ে ঋষভ যখন ফিরলেন, তাঁর স্কোর ৪৩ বলে ৯৭। ছ’টা বাউন্ডারি, ন’টা ওভারবাউন্ডারি। দিল্লি তরুণের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ রায়না পর্যন্ত এগিয়ে এসে ঋষভকে অভিনন্দন জানিয়ে যান। জেমস ফকনারকেই টার্গেট করেছিলেন ঋষভ। ৯৭ রানের মধ্যে পন্থ ২৬ তোলেন ফকনারের বিরুদ্ধে। এগারো নম্বর ওভারেই সবচেয়ে বেশি রান দেয় গুজরাত। ফকনারের করা সেই ওভারে ওঠে ২৪ রান। ছ’টা বলের মধ্যে তিনটে ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি মারেন ঋষভ।

আরও পড়ুন: নাইটদের প্রেরণা এখন সাফল্যের জোড়া পর্ব

দুশোর ওপর রান তোলার পরে সুরেশ রায়নাও তো ভেবেছিলেন ম্যাচটা তাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। শুধুমাত্র একজন ঋষভ পন্থ সবকিছু ওলটপালট করে দিলেন। যে ইনিংসের সৌজন্যে প্রথম বার নিজের আইপিএল কেরিয়ারে প্লে-অফে উঠতে পারলেন না রায়না। ‘‘এটা তো পন্থের দিন। কী দুর্দান্ত ব্যাটিং করল। আমরা সবরকম চেষ্টা করেও পারলাম না। বল পরের দিকে রিভার্স সুইং করলেও ম্যাচ তখন হাতের থেকে বেরিয়ে গিয়েছে,’’ বলছেন রায়না।

জয়ের নায়ক ঋষভ বলছেন, ‘‘আমরা ঠিক করেছিলাম খারাপ বল পেলেই মারব। দলকে সাহায্য করতে পেরে আমি খুব খুশি।’’

করুণ নায়ার তখনও যেন পন্থের স্বপ্নের ইনিংসের ঘোর থেকে বেরোতে পারেননি। ‘‘সঞ্জু আর ঋষভের পার্টনারশিপ আমার দেখা সেরা। এত বড় রান তাড়া করতে নামলে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে হয়। কিন্তু প্রতিটা বল যখন কেউ মারছে তখন আউট হওয়ার ভয়টা থাকে না।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম স্বাধীন ভাবে খেলতে। ব্যর্থতার কথা না ভাবলেই সুবিধা হয়।’’

লিগ টেবলের নীচের দিকে থাকা দুই দলের লড়াইয়ে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। ৪৩ বলে ৭৭ করে যান রায়না। ঝোড়ে ইনিংস খেলে গেলেন কার্তিকও। তাঁর সংগ্রহ ৩৪ বলে ৬৫। কার্তিককে শেষ পর্যন্ত অসাধারণ একটা ক্যাচ ধরে ফেরত পাঠান কোরি অ্যান্ডারসন। কিন্তু গুজরাত ২০৮ তুললেও শেষমেশ দুর্বল একটা বোলিং পারফরম্যান্স ডুবিয়ে দিল তাদের। গত বার প্লে অফে উঠলেও এ বার আগেই শেষ হয়ে গেল গুজরাতের লড়াই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE