আইপিএলে বেগনি টুপি জিতেও অভিমানী শামি। ছবি: আইপিএল।
দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে না পেরে হতাশ মহম্মদ শামি। আইপিএলে ২৮টি উইকেট নিয়ে বেগনি টুপি জিতেছেন। প্রতিযোগিতার সেরা বোলার হয়েও কিছুটা অভিমানী বাংলার জোরে বোলার। ফাইনালের পর তা গোপনও করলেন না।
নতুন বলে আক্রমণ শুরুর ক্ষেত্রে গোটা প্রতিযোগিতায় শামির উপর ভরসা রেখেছিলেন হার্দিক। শামিও অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা দিয়েছেন। তাঁর বল খেলতে সমস্যায় পড়েছেন প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটাররা। শেষ দিকের কয়েকটি ম্যাচে কিছুটা বেশি রান খরচ করেছেন। তা নিয়েই প্রশ্নের জবাবে কিছুটা ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মূলত ব্যাটারদের খেলা। চার-ছয় দেখতে গ্যালারি ভরান দর্শকরা। উইকেটও তৈরি করা হয় সে ভাবে। খেলার অধিকাংশ নিয়মও ব্যাটারদের পক্ষে। নানা প্রতিকূলতা সামলেই বল করতে হয় বোলারদের। পাওয়ার প্লে-তে বোলিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন বাংলার জোরে বোলার। শামি বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রথম দিকের ওভারগুলো দারুণ উপভোগ করেন। কারণ প্রচুর রান হয়। তবে ওই সময় বল করা খুব কঠিন। ৩০ গজের বাইরে মাত্র দু’জন ফিল্ডার থাকে। পাওয়ার প্লের সময় বল করা একটা চ্যালেঞ্জ। আমিও এক জন মানুষ।’’
তা হলে ২০ ওভারের ক্রিকেটে সাফল্যের উপায় কী? শামি বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয়। লাল বল এবং সাদা বলের অনেক পার্থক্য রয়েছে। দু’রকম বলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া জরুরি। এটা করতেই হয়।’’
শামি আগেও বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সফল হওয়ার আলাদা কোনও ফর্মুলা নেই। টেস্ট ক্রিকেটের লাইন এবং লেংথ বজায় রাখতে পারলে সাফল্য আসবে। ওটাই আসল।’’ টেস্ট ক্রিকেটে অবশ্য ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ থাকে না। বোলাররা অনেক বেশি আগ্রাসী হতে পারেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেই সুযোগ কম। ব্যাটাররাই এই ক্রিকেটের মূল আকর্ষণ। আইপিএল ফাইনালের পর সেই ক্ষোভ বা আক্ষেপের কথাই শোনা গিয়েছে প্রতিযোগিতার সফলতম বোলারের গলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy