ওয়াংখেড়ের মাঠে দাপট দেখালেন অজিঙ্ক রাহানে। ছবি: পিটিআই
মুম্বইয়ের মাটিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাতে সেখানকার ক্রিকেটারকেই ব্যবহার করল চেন্নাই সুপার কিংস। ৩৪ বছরের অজিঙ্ক রাহানের অভিষেক হল চেন্নাইয়ের জার্সিতে। নেমেই প্রথম ম্যাচে ২৭ বলে ৬১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দিলেন তিনি। মুম্বইকে ৭ উইকেটে হারাল চেন্নাই।
মুম্বইয়ের ছেলে রাহানে। ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ় জিতেছিলেন। কিন্তু তাঁকেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে যে ভারতীয় দলে তাঁকে ভাবা হচ্ছে না সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রঞ্জি ট্রফিতে নিয়মিত খেলেও নিজের জায়গা ফেরাতে পারলেন না ভারতীয় দলে। এমন এক জন ক্রিকেটারকে নিলামে কিনে নেয় চেন্নাই। চিরকালই যে দলে বয়স্ক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের কদর বেশি। সেই দলের হয়ে প্রথম বার খেলতে নেমেই ‘বুড়ো’ হাড়ের ভেলকি দেখালেন রাহানে।
শুরুটা ছিল রোহিতদের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১০ রান প্রতি ওভার তুলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু একটু সময় যেতেই খেলা ঘুরতে শুরু করল। তুষার দেশপাণ্ডের বলে রোহিতের স্টাম্প উড়ে যায়। সেখান থেকেই ম্যাচে ফিরতে শুরু করে চেন্নাই। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে মুম্বই।
রোহিত আউট হতে ঈশান কিশন দ্রুত রান তোলার কাজ শুরু করেন। কিন্তু তাঁকে আটকাতে পেসারদের বিরতি দিয়ে রবীন্দ্র জাডেজাকে বল করতে ডাকেন ধোনি। নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট পান জাডেজা। ২১ বলে ৩২ রান করেন ঈশান। জাডেজার বলে উইকেট দিয়ে যাওয়ার আগে দলকে বড় রান তোলার ভিতটা গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তরুণ উইকেটরক্ষক। কিন্তু তিনি ফিরতেই মুম্বই দলে বিপত্তি। ৬৪ রানে ২ উইকেট থেকে মুম্বই হঠাৎ ৭৬ রানে ৫ উইকেট হয়ে যায়।
সূর্যকুমার যাদব ১ রান করে আউট হন। তাঁর উইকেটের কৃতিত্ব অবশ্যই ধোনির। বল গ্লাভস ছুঁয়ে ধোনির হাতে গিয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ার ওয়াইড দেন। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন ধোনি। তাতে দেখা যায় বল গ্লাভসে লেগেছে। আউট হয়ে যান সূর্যকুমার। একের পর এক ম্যাচে রান পাচ্ছেন না তিনি। ১১ বলে ১২ রান করে আউট হয়ে যান ক্যামেরন গ্রিন। আরশাদ খানের উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার। ৪ বলে ২ রান করে আউট হন আরশাদ।
চেন্নাইয়ের হয়ে তিন উইকেট জাডেজার। দু’টি করে উইকেট তুষার এবং স্যান্টনারের। তাঁদের দাপটে মুম্বইয়ের মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ে। শেষ বেলায় দলকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করান ঋত্বিক শোকিন। ১৩ বলে ১৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও তাতে ম্যাচ জেতার মতো রান তুলতে পারেনি মুম্বই।
ওয়াংখেড়ের মাঠে ১৫৭ রান সহজেই তাড়া করে চেন্নাই। ১১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা। রাহানে ছাড়াও চেন্নাইয়ের হয়ে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ম্যাচ জেতান তিনি।
চেন্নাইয়ের পরের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। ১২ এপ্রিল চেন্নাইয়ের মাঠেই হবে সেই ম্যাচ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স খেলবে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে। ১১ এপ্রিল দিল্লির মাঠে হবে সেই ম্যাচ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy