ক্রিস ওকসের সঙ্গে গৌতম গম্ভীর। ছবি: পিটিআই।
দিল্লি ১৬৮/৭(২০ ওভার)
কলকাতা ১৬৯/৬ (১৯.৫ ওভার)
জয়ের হ্যাটট্রিক সেরে ফেলল গম্ভীর অ্যান্ড ব্রিগেড। এক বল বাকি থাকতেই দিল্লির দেওয়া লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কলকাতা। চার উইকেটে ম্যাচ জিতে লিগ টেবলে শীর্ষ স্থান ধরে রাখলেন নাইটরা।
ঘরের মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কলকাতার সামনে বড় রানের টার্গেট রাখতে পারল না দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস। নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানেই শেষ হয়ে গেল দিল্লির ইনিংস। ব্যাক্তিগত ব়়ড় রান এল না কারও ব্যাটে। ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রান এল ওপেনার সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটে. কিন্তু তাঁর ৩৯ রানের ইনিংসে ভর করে বেশিদূর যেতে পারল না হোম টিম. আর এক ওপেনার স্যাম বিলিংসের রান ২১। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২১ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরলেন করুণ নায়ারও। শ্রেয়াস আইয়ার ২৬ রানে রান আউট হন। এর পর ৩৮ রান করেন ঋশভ পন্থ। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথু মাত্র এক রান করেই ফেরেন প্যাভেলিয়নে। ১৬ রান ক্রিস মরিসের। কলকাতার হয়ে বল হাতে দারুণ সফল নাথান নাইল কোল্টার। তাঁর বলের দাপটেই প্যাভেলিয়নে ফেরেন বিলিংস, ঋশভ ও করুণ নায়ার। একটি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস, উমেশ যাদব ও সুনীল নারিন।
আরও খবর: হারের হতাশা কাটাতে প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালেন বিরাট
ঘরের মাঠের জোড়া জয়ের পহর দারুণ ছন্দে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে। ক্রিস লিনের চোটের জন্য ছিটকে যাওয়াটা গম্ভীরের দলের উপর যে বড় প্রভাব ফেলতে পারেনি সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন দলের বাকিরা। প্রথম দুই ম্যাচে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে দারুণ সফল লিন। সেই সফল লিন ছিটকে যাওয়ার পর ঝুঁকি নিয়ে সুনীল নারিনকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নেমে প্রথম ম্যাচে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে সফল হয়েছিলেন গম্ভীর। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ নারিন। যে কারণে দিল্লির বিরুদ্ধে আবার বদলে ফেললেন ওপেনিং জুটি। এদিন গৌতম গম্ভীরের সঙ্গী ছিলেন কলিন দে গ্র্যান্ডহোম। কিন্তু মাত্র এক রান করে প্যাঙেলিয়নে ফিরে যান তিনি। ব্যর্থ গম্ভীরও। তাঁর রান ১৪। তিন নম্বরে নেমে মাত্র চার রান করে ফেরেন রবিন উথাপ্পাও।
এর পরই কলকাতা ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন মনীশ পাণ্ড্য ও ইউসুফ পঠান। মোরিসের বলে তাঁকেই ক্যাচ দিয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরার আগে পঠানের ৫৯ রানের ইনিংস জয়ের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছিল। তার আগে কলকাতা ব্যাটিংয়ের হাল ধরে নিয়েছিলেন মনীশ পাণ্ড্য। ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৪৯ বলে তাঁর এই ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি ওভার বাউন্ডারি ও চারটি বাউন্ডারি দিয়ে। এক বল বাকি থাকতে জয়ের রান তুলে নেন মনীশ। দিল্লির হয়ে জোড়া উইকেট নেন জাহির খান ও প্যাট কামিন্স। একটি করে উইকেট ক্রিস মোরিস ও অমিত মিশ্রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy