Advertisement
০৭ নভেম্বর ২০২৪
RCB

Virat Kohli: গুজরাতকে হারিয়ে ইডেনে প্লে-অফ খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলেন কোহলীরা

বিরাট কোহলীদের আশা-ভরসা এখন দিল্লি ক্যাপিটালস। শনিবার যদি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে দিল্লি হেরে যায়, তা হলে কোহলীদের শেষ চার নিশ্চিত হবে।

বিরাট কোহলী।

বিরাট কোহলী। ছবি আইপিএল

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২২ ২৩:১৩
Share: Save:

গুজরাত টাইটান্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ইডেনে প্লে-অফ খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বৃহস্পতিবার জেতায় বেঙ্গালুরুর ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট হল। লিগ তালিকায় তারা উঠে এল চতুর্থ স্থানে। বিরাট কোহলীদের আশা-ভরসা এখন দিল্লি ক্যাপিটালস। শনিবার যদি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে দিল্লি হেরে যায়, তা হলে কোহলীদের শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাবে। যদি দিল্লি জেতে, তা হলে নেট রান রেট ভাল থাকার সুবাদে তারা প্রথম চারে শেষ করতে পারে। এ দিন বেঙ্গালুরুর জয়ে সরকারি ভাবে প্লে-অফে ওঠার আশা শেষ হয়ে গেল পঞ্জাব এবং হায়দরাবাদের। কোনও ভাবেই তাদের ১৬ পয়েন্টে পৌঁছনো সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার ফের রানে ফিরলেন বিরাট কোহলী। তাঁর ব্যাট থেকে অর্ধশতরান পাওয়া গেল। শুরু থেকেই কোহলীকে দেখে চাপমুক্ত মনে হচ্ছিল। খেললেনও সে ভাবেই। শ্রেয়স আয়ার, রোহিত শর্মা বা মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে দেখতে পাবে না ইডেন। শহরের সমর্থকদের আশা, কোহলী যেন খেলতে আসেন। এই মাঠেই তাঁর শেষ শতরান এসেছিল। ইডেনেই কোহলীকে পুরনো ছন্দে দেখতে চান সবাই। সেই স্বপ্ন সত্যি হতে পারে একমাত্র যদি দিল্লি হেরে যায় মুম্বইয়ের কাছে।

এ দিন টসে জিতে আবারও প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাত। ২১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় তারা। এক রান করে ফিরে যান শুভমন গিল। কিছুক্ষণ পরেই ফিরে যান ম্যাথু ওয়েডও (১৬)। হার্দিক পাণ্ড্যের সঙ্গে জুটি বেধেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু হার্দিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান ঋদ্ধিমান। ৩১ রান করেছেন তিনি। এর পর চতুর্থ উইকেটে ডেভিড মিলারের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন হার্দিক। তিনটি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ৩৪ করেন মিলার। রাহুল তেওতিয়া দু’রানে ফিরলেও শেষ দিকে নেমে ঝোড়ো ইনিংস খেলে দেন রশিদ খান (অপরাজিত ১৯)। নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ তুলেছিল গুজরাত।

জবাবে প্রথম উইকেটের জুটিতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় বেঙ্গালুরু। আবার আইপিএলে অর্ধশতরান করলেন কোহলী। প্রথম উইকেটে ১১৫ রান উঠে যায়। ম্যাচের আগেই কোহলী বলেছিলেন, ব্যাটে রান না থাকলেও নিজের সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কোহলীর ব্যাট কথা বলল। আটটি চার এবং দু’টি ছক্কার সাহায্যে ৫৪ বলে ৭৩ রান করেন কোহলী। রশিদ খানের বলে স্টাম্পড হয়ে যান। তিনে নেমে দলের জয়ে অবদান রাখলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। পাঁচটি চার এবং দু’টি ছয়ের সাহায্যে ১৮ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE