Advertisement
E-Paper

বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার! পাখি, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া না রুশ হামলা? কাজ়াখস্তানে দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ

কাজ়াখ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তের গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৪০০০ বর্গমিটার জায়গার মধ্যে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। সেই দুর্ঘটনাস্থল পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বিমান। ছবি: রয়টার্স।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বিমান। ছবি: রয়টার্স।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৫৫
Share
Save

পাখির ধাক্কা, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, না কি রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, এই নানাবিধ তত্ত্ব নিয়ে হইচইয়ের মধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হল শুক্রবার। কিন্তু কেন ভেঙে পড়ল বিমানটি, তার কারণ এখনও অধরা।

কাজ়াখ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তের গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৪০০০ বর্গমিটার জায়গার মধ্যে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। সেই দুর্ঘটনাস্থল পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা যাত্রী, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও কথা বলে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। বিমান ভেঙে পড়ার আগে আকতু বিমানবন্দরের সঙ্গে পাইলটের শেষ কী কথোপকথন হয়েছিল, তা উদ্ধার করা হয়েছে বলে কাজ়াখ প্রশাসন সূত্রে খবর। সেগুলি বিশ্লেষণ করারও প্রক্রিয়া চলছে।

বিমান বিশেষজ্ঞদের দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের গায়ে যে গর্ত এবং বিমানটি যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার ধরন দেখে মনে করা হচ্ছে ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছিল সেটি। তাঁদের দাবি, ৯০-৯৯ শতাংশ সম্ভাব্য কারণ এটিই। যদিও রাশিয়া এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছে। আর এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে একটা টানাপড়েন শুরু হয়েছে। আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সও বিমানে হামলার তত্ত্বের উপর জোর দিয়েছে। সেই সঙ্গে এই হামলার দায় রাশিয়াকে স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তুলেছে।

বিমান দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে যখন নানা মহলে কাটাছেঁড়া চলছে, দুর্ঘটনার পর পরই আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।) সুবখোন রাখিমোভ নামে বেঁচে ফেরা এক যাত্রী সেই ভিডিয়োটি করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে, বিমানের গায়ে অজস্র ছোট ছোট ছিদ্র। সঙ্গে কয়েকটি বড় গর্তও দেখা গিয়েছে। তাঁর দাবি, বিমানে পিছনের অংশে ছিলেন। তাই বেঁচে ফিরেছেন। বিমানটি আছড়ে পড়ে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছিল। সামনের অংশ পুরো জ্বলে গিয়েছিল। পিছনের অংশ অক্ষত ছিল। আর সেই জায়গাতেই ছিলেন সুবোখন এবং তাঁর স্ত্রী।

বুধবার বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের গ্রজ়নিতে যাচ্ছিল বিমানটি। তাতে বিমানকর্মী-সহ মোট ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। আকতু বিমানবন্দরের কাছে বিমানটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের।

Kazakhstan Plane Crash

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}