গত বারের তুলনায় এ বার বিজ্ঞাপনের খরচ বাবদ সংস্থাগুলি ১৫ শতাংশ বেশি টাকা দিচ্ছে বিসিসিআইকে। কিন্তু তার পরে টেলিভিশনের দর্শক সংখ্যা কমায় বেশ কয়েকটি সংস্থা বোর্ডের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। তবে সামনের বছর তারা বিজ্ঞাপন দেবে না, এমন কথা এখনই বলছে না সংস্থাগুলি।
ধোনিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত সিএসকে সমর্থকরা ছবি: আইপিএল
আইপিএলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কমছে টেলিভিশনের দর্শক সংখ্যা। গত বারের থেকে প্রায় ৩৩ শতাংশ কমেছে এ বারের দর্শক। তার প্রভাব পড়ছে বিজ্ঞাপনে। এ বারই স্টার-এর সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে বিসিসিআইয়ের। ২০২৩ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রতিযোগিতার নতুন টেলিভিশন স্বত্ব দেওয়া হবে। তার আগে দর্শক সংখ্যা কমায় তার প্রভাব টেলিভিশন স্বত্বের অঙ্কের উপর পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বিসিসিআইয়ের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে বিভিন্ন সংস্থা কড়া নজর রাখছে প্রতিযোগিতার দিকে। বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে বদল।
দ্য প্রিন্টের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বারের তুলনায় এ বার বিজ্ঞাপনের খরচ বাবদ সংস্থাগুলি ১৫ শতাংশ বেশি টাকা দিচ্ছে বিসিসিআইকে। কিন্তু তার পরে টেলিভিশনের দর্শক সংখ্যা কমায় বেশ কয়েকটি সংস্থা বোর্ডের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। সামনের বছর তারা বিজ্ঞাপন দেবে না, এমন কথা অবশ্য এখনই বলছে না সংস্থাগুলি। পরিস্থিতি দেখে তার পরে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে তারা।
অবশ্য দর্শক সংখ্যা কমায় আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল বা বিসিসিআই চিন্তা করতে নারাজ। আইপিএলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ পটেল জানিয়েছেন, দর্শক সংখ্যা কমার কোনও প্রভাব টেলিভিশন স্বত্বে পড়বে না। কারণ ভারতের ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকের মধ্যে এই প্রতিযোগিতার প্রতি উন্মাদনা একই রকম রয়েছে। বোর্ডের প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধরী জানিয়েছেন, এই তথ্য থেকে পুরো ছবিটা বোঝা যায় না। এখনও অনেক সময় রয়েছে। সংস্থাগুলি স্বল্প নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে বিনিয়োগ করবে বলেই আশা তাঁর।
কিন্তু কেন কমছে টেলিভিশনের দর্শকের সংখ্যা। তার কয়েকটি কারণ উঠে আসছে।
১) কোভিড বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পরে পাব, রেস্তোরাঁ, বা ক্লাবে অনেকে এক সঙ্গে খেলা দেখছেন। ফলে টেলিভিশনের দর্শক সংখ্যা কমছে।
২) আইপিএল চলাকালীন বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা থাকায় একটা বড় অংশের দর্শক খেলা দেখতে পারছেন না।
৩) আইপিএলে এখনও পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নিজেদের একটি সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি করতে পেরেছে। বাকি দলগুলির সে রকম একনিষ্ঠ সমর্থক গোষ্ঠী নেই। তাই সেই সব দল ভাল না খেলতে পারলে সমর্থক কমতে থাকে।
৪) গত বছরের শেষ দিকে আইপিএলে হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। তার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় দর্শকদের মধ্যে একটা একঘেয়েমি তৈরি হয়ে থাকতে পারে।
তবে এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পদ্ধতিতেও বদল এসেছে। এখন টেলিভিশনের সঙ্গে ওটিটি প্লাটফর্মেও আইপিএল দেখা যায়। তরুণ প্রজন্ম সাধারণত টেলিভিশনের থেকে ওটিটি-র উপরেই বেশি নির্ভরশীল। তাই যে সব সংস্থার গ্রাহক তরুণ প্রজন্ম তারা টেলিভিশনের তুলনায় ওটিটি-তে বিনিয়োগ করছে। আবার যে সব সংস্থার গ্রাহক বয়স্ক মানুষ তারা টেলিভিশনেই বিজ্ঞাপন দিতে উৎসাহী। এ বারের আইপিএলে ৮৪টি নতুন ব্র্যান্ড বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই অবশ্য ওটিটি প্লাটফর্মে। তবে তার প্রভাব টেলিভিশন স্বত্বের উপর পড়বে না বলেই দাবি বিসিসিআইয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy