ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ় বন্ধ। দুই দেশের মধ্যে যেটুকু ক্রিকেট খেলা হয় সেটা আইসিসির প্রতিযোগিতায়। কিন্তু পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পর বিশ্বকাপেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গেল। যা জানা যাচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আইসিসির কাছে চিঠি দিয়ে আর্জি জানানো হবে, যেন কোনও বিশ্বকাপেই আর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতকে একই গ্রুপে রাখা না হয়।
শুধু আইসিসি নয়, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকেও চিঠি দিতে পারে বোর্ড। এশিয়া কাপেও ভারত এবং পাকিস্তানকে একই গ্রুপে যাতে রাখা না হয়, সেই বিষয়ে আবেদন করতে পারে তারা। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও জটিল হয়েছে। তার প্রভাব পড়তে চলেছে ক্রিকেটেও।
বিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি রাজীব শুক্ল এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, “কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে কাজ করবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কেন্দ্রের নির্দেশেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ় বন্ধ। এ বার আইসিসির প্রতিযোগিতায় ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে খেলবে কি না সেটা আইসিসির উপরেই নির্ভর করবে। এখন পরিস্থিতি কী সেটা আইসিসি ভাল করেই জানে।” ঘটনা হল, এখন আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র। ফলে, ভারতীয় বোর্ড যদি সত্যিই আইসিসিকে চিঠি দেয়, তা নিয়ে অবশ্যই ভাববে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা।
আরও পড়ুন:
২০১২ সাল থেকে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় বন্ধ। তার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে শুধু এশিয়া কাপ এবং আইসিসির বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। ১৯৯২ সালে প্রথম বার ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বকাপে। এক দিনের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত আট বার একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছে তারা। ২০১৫ সাল থেকে প্রতিটি এক দিনের বিশ্বকাপেই একই গ্রুপে রাখা হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তানকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত এবং পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে আট বার খেলেছে। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই গ্রুপে ছিল তারা। তার আগে ২০০৭ সালে দুই দেশ একই গ্রুপে ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রতি বারই একই গ্রুপে রাখা হয় ভারত এবং পাকিস্তানকে। শেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও অন্যথা হয়নি। শেষ দু’টি এশিয়া কাপেও ভারত-পাকিস্তানকে একই গ্রুপে দেখা গিয়েছে। দুই দলের ক্রিকেট ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। ব্যবসায়িক দিকের কথা মাথায় রেখেই দুই দলকে একই গ্রুপে রাখে আইসিসি এবং এসিসি।
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে সিন্ধুর উপনদে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ, বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণ চাইল ভারত
-
‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি’! ভারতের ব্রহ্মস হানা নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা
-
পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে ‘কোপ’ পড়েছিল, সেই সব পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল, ইনস্টাগ্রামের উপর থেকে সরছে নিষেধাজ্ঞা
-
সিন্ধু চুক্তি নিয়ে পাকিস্তান থেকে পর পর চিঠি, ভারত কি অবস্থান বদলাবে? উত্তর দিলেন জলশক্তিমন্ত্রী
-
প্রতিরক্ষায় কতটা দক্ষ ভারত? সংঘাতের পর গোয়েন্দা তথ্য নয়াদিল্লির আর এক ‘শত্রু’ দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান!