দলে এক বাংলাদেশি, এক প্রোটিয়া! কারা ঠাঁই পেলেন নাইট রাইডার্সের সর্বকালের সেরা একাদশে?
১৭ বছরে বহু ক্রিকেটার কলকাতার হয়ে খেলেছেন। অধিনায়কত্বও করেছেন অনেকে। কিন্তু নাইট রাইডার্সের সর্বকালের সেরা একাদশে ঠাঁই পাবেন কারা? আমরা তৈরি করলাম এমনই এক একাদশ।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ১২:২৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
‘জন্ম’ ২০০৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। মালিক শাহরুখ খানের রেড চিলিজ় এবং জুহি চাওলার মেহতা গ্রুপ। ২০০৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে কলকাতার দলটি কিনে নেন শাহরুখ-জুহি।
০২১৯
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরুটা অবশ্য ভাল করেনি নাইট রাইডার্স। আট দলের টুর্নামেন্টে ছ’নম্বরে শেষ করেছিল কলকাতা। কলকাতার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন সৌবভ, সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার উমর গুল।
০৩১৯
এর পর অবশ্য তিন বার ট্রফি জিতেছে কলকাতা। রানার্স হয়েছে এক বার। ১৭ বছরে বহু ক্রিকেটার কলকাতার হয়ে খেলেছেন। অধিনায়কত্বও করেছেন অনেকে। কিন্তু নাইট রাইডার্সের সর্বকালের সেরা একাদশে ঠাঁই পাবেন কারা? আমরা তৈরি করলাম এমনই এক একাদশ।
০৪১৯
গৌতম গম্ভীর (অধিনায়ক): কেকেআরের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। গম্ভীরের হাত ধরে দু’বার ট্রফি জিতেছে নাইট রাইডার্স। ১৫৪ ম্যাচে ১২৪ স্ট্রাইক রেটে ৪২১৭ রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটার। এই দলেরও অধিনায়ক তিনিই।
০৫১৯
রবিন উথাপ্পা (উইকেটরক্ষক): গম্ভীরের সঙ্গে ওপেন করবেন রবিন উথাপ্পা। ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত নাইটদের হয়ে খেলেছেন তিনি। কেরিয়ারে মোট ২০৫ ম্যাচ খেললেও বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন নাইট শিবিরেই। ১৩০-এর উপর স্ট্রাইক রেটে প্রায় পাঁচ হাজার রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এই দলের উইকেটরক্ষকের দায়িত্বেও তিনি থাকছেন।
০৬১৯
মণীশ পাণ্ডে: ২০১৪ থেকে ২০১৭, টানা চার বছর কলকাতার হয়ে খেলেছেন এই ডানহাতি মিডলঅর্ডার ব্যাটার। এ বারেও কলকাতার দলে আছেন তিনি। কলকাতাকে বহু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। তিনি নামবেন তিন নম্বরে।
০৭১৯
সাকিব অল হাসান: নাইটদের হয়ে সাত বছর খেলেছেন বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার। আইপিএল কেরিয়ারে ৭১টি ম্যাচে ১২৪.৪৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন তিনি। নিয়েছেন ৬৩টি উইকেট। যে কোনও দলের সম্পদ হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারের।
০৮১৯
আন্দ্রে রাসেল: পাঁচ নম্বরে আসবেন আন্দ্রে রাসেল। টানা ১১ বছর কলকাতার হয়ে খেলছেন এই ডানহাতি ক্যারিবীয়। বিধ্বংসী ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৭৫। বল হাতেও কার্যকর রাসেল আইপিএল কেরিয়ারে নিয়েছেন ১১৫ উইকেট।
০৯১৯
রজত ভাটিয়া: তিন বছর কলকাতার হয়ে খেললেও ছাপ রেখেছেন এই অলরাউন্ডার। নাইটদের হয়ে ৪৬টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। কেরিয়ারে ৯৫ ম্যাচে ৭১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতেও কার্যকর ডানহাতি অলরাউন্ডার।
১০১৯
সুনীল নারিন: কেকেআর ছাড়া অন্য কোনও দলের হয়ে আইপিএল খেলেননি। বল হাতে তো বটেই, ব্যাট হাতেও বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন ক্যারিবীয় স্পিনার। ওভারপ্রতি মাত্র ৬.৭৩ রান দিয়ে ১৮১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে শতরানও করেছেন সুনীল। স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৬৬।
১১১৯
ব্রেট লি: ৩৮ ম্যাচের আইপিএল কেরিয়ারের ২৫টি ম্যাচ নাইটদের হয়েই খেলেছেন অসি পেসার। এই দলের পেস ব্যাটারিকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। গতির অস্ত্রে যে কোনও ব্যাটারকে ধ্বংস করতে পারেন সক্ষম লি।
১২১৯
কুলদীপ যাদব: নাইটদের হয়ে পাঁচ বছর খেলেছেন বাঁহাতি চায়নাম্যান। ৮৪ ম্যাচে ৯২ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। সর্বকালের সেরাদের দলের স্পিন বিভাগের অন্যতম অস্ত্র কুলদীপ।
১৩১৯
উমেশ যাদব: দু’দফায় মোট ছ’বছর কেকেআরের হয়ে খেলেছেন উমেশ। আইপিএল কেরিয়ারে ১৪৪ উইকেট নিয়েছেন জাতীয় দলের এই প্রাক্তনী। ব্রেট লির সঙ্গে নতুন বল ভাগ করে নেবেন এই ডানহাতি।
ক্রিস লিন: পাঁচ বছর খেলেছেন কেকেআরের হয়ে। আইপিএল কেরিয়ারের ৪২টি ম্যাচের মধ্যে ৪০টি খেলেছেন নাইটদের হয়েই। প্রায় ১৪১ স্ট্রাইক রেট থাকা এই ধ্বংসাত্মক ওপেনার এই দলের প্রথম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার।
১৬১৯
লক্ষ্মীপতি বালাজি: তিন বছর কেকেআরের হয়ে খেলেছেন। আইপিএল কেরিয়ারে ৭৬ উইকেট নেওয়া ডানহাতি পেসারের রয়েছে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজিরও। বালাজি এই দলের দ্বিতীয় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার।
১৭১৯
জাক কালিস: বিশ্বের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে অন্যতম। বল হোক বা ব্যাট, যে কোনও সময়ে যে কোনও ভাবে ম্যাচের রং একাই পাল্টে ফেলতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি অলরাউন্ডার। চার বছর নাইটদের হয়ে খেলেছেন তিনি।
১৮১৯
দীনেশ কার্তিক: দীর্ঘ আইপিএল কেরিয়ারে ছ’টি দলের হয়ে খেলেছেন জাতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মোট ২৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন কার্তিক। নাইটদের হয়ে খেলেছেন চার বছর। কার্তিক এই দলের চতুর্থ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার।
১৯১৯
ইউসুফ পাঠান: সাত বছর কেকেআরের হয়ে খেলেছেন এই মারকুটে অলরাউন্ডার। ১৪৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা ডানহাতি ব্যাটারের আইপিএলে রয়েছে একটি শতরানও। ইউসুফ এই দলের পঞ্চম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার।