২০০০ সালের একটি মানহানির মামলায় দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করল সমাজকর্মী মেধা পাটেকরকে। ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মেধা গত বছর জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রবেশন বন্ড জমা না দেওয়ার জন্য বুধবার আদালত তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা (এনবিডব্লিউ) জারি করেছিল। তারই জেরে শুক্রবার দিল্লি পুলিশের এই পদক্ষেপ।
গুজরাতে নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের অন্যতম মুখ মেধার বিরুদ্ধে ওই মানহানির মামলাটি করেছিলেন দিল্লির বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয়কুমার সাক্সেনা। মেধার মিথ্যা দাবির জন্য সাক্সেনার সামাজিক সম্মানহানি হয়েছে বলে গত বছরের জুলাই মাসে রায় দিয়েছিল আদালত। সেই কারণে তাঁর পাঁচ মাসের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের সাজা হয়েছিল। কিন্তু সেই সঙ্গেই তাঁর জামিনও মঞ্জুর হয়েছিল।
কিন্তু মেধা জামিনের শর্ত মানেননি বলে অভিযোগ। গত বুধবার সাকেত আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ বিশাল সিংহ মেধার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে জানিয়েছিলেন, পরবর্তী শুনানির দিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশে উল্লিখিত শর্তাবলি পালন করা না হলে অবিলম্বে সাজা কার্যকর করা হবে। প্রসঙ্গত, আড়াই দশক আগে সাক্সেনা ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সিভিল লিবার্টিজ়’ নামে একটি সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। এই সংগঠনটি মেধাদের নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের বিরোধী ছিল।
নর্মদা নদীতে বাঁধ দেওয়ার বিরুদ্ধে মেধাদের যে আন্দোলন, তার বিরোধিতা করে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল সাক্সেনার সংগঠন। তার পাল্টা একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেছিলেন মেধা। ওই বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছিলেন, হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত সাক্সেনা। তাঁকে তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘এজেন্ট’ বলেও চিহ্নিত করেছিলেন মেধা। এর পরেই ২০০১ সালে অহমদাবাদের একটি আদালতে প্রবীণ সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০০৩ সালে মামলাটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল।