লড়াই: প্লে-অফে মুখোমুখি ওয়ার্নার-গম্ভীরের দল। ফাইল চিত্র
রবিবার বিকেলে তিনি যখন তাঁর নাইটদের বিদায় জানিয়ে শহর ছাড়েন, তখন কিংগ খানের মুখে সেই স্লোগান— ‘করব, লড়ব, জিতব রে’।
শনিবার ইডেনে বেশ খারাপ হারের পরেও যে নাইটদের মালিক একটুও হতাশ হননি, তা ইডেন থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের বলে দিয়ে গিয়েছিলেন। রাতে টিম হোটেলে পার্টিতে ও ফের রবিবার দুপুরের অনুষ্ঠানে ফের তিনি বুঝিয়ে দেন, প্লে-অফে জেতাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আগের রাতের হার ভুলে যাওয়াই ভাল।
দলের ক্রিকেটার, কর্তা ও স্পনসরদের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ দিন দুপুরে একটা অনুষ্ঠান ছিল বাইপাসের ধারে কেকেআরের টিম হোটেলে। সেখানেই ক্রিকেটারদের আশ্বাস দেন শাহরুখ। বলেন, ‘‘আমার পরের তিনটে ম্যাচে জয় চাই। হার-জিত জীবনেরই অঙ্গ। কিন্তু আমরা তো এই নিয়ে অনেকগুলো ম্যাচ হারলাম (শেষ পাঁচটার মধ্যে চারটে)। এ বার জয়ে ফেরা দরকার। জয়ের ছন্দ ফিরিয়ে আনতে হবে।’’ নাইটদের শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দলের ক্রিকেটাররাও নাকি তাঁকে কথা দিয়েছেন, বুধবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জান লড়িয়ে দেবেন। রবিবার পুণে জেতায় সানরাইজার্স লিগ টেবলে তিন নম্বরে চলে আসায় এই লাইন-আপ দাঁড়াল। নাইটরা বেঙ্গালুরু রওনা হচ্ছেন সোমবার।
শনিবার গভীর রাতে ইডেন থেকে ফেরার পর টিম হোটেলে দলের হতাশ ও ক্লান্ত ক্রিকেটারদের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক শাহরুখ সবার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের চাঙ্গা করে তোলার চেষ্টা করেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হারটা গম্ভীর ও তাঁর সতীর্থরা নাকি মোটেই ভাল ভাবে নেননি। ক্যাপ্টেন গম্ভীর ড্রেসিংরুমে ফিরে নাকি সবাইকে বলেন, ‘‘এত দায়িত্বজ্ঞানের অভাব হলে আইপিএল জেতার স্বপ্ন না দেখাই ভাল।’’ টিভিতেও তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘প্রচুর বাজে শট খেলতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছি আমরা। এ ভাবে ব্যাট করলে প্লে অফে ভাল কিছু করা যাবে না।’’
আরও পড়ুন: ওয়ার্নার ঝড় থামাতে বোলিং ওপেন করুক নারাইন
অনেকে অবশ্য সুনীল নারাইন ও ক্রিস লিনের ওপেনিং জুটির ফাটকাকে এই পরপর হারের জন্য দায়ী করতে চাইছেন। কিন্তু শনিবার ম্যাচের পর দলের নির্ভরযোগ্য পেসার ট্রেন্ট বোল্ট সাংবাদিকদের এই জুটির উপরই নির্ভর করে থাকবেন, এমন ইঙ্গিত দেন।
শেষ ২০১৩-য় ইডেনে রান তাড়া করে ম্যাচ হেরেছিল নাইটরা। এতদিন পর ফের সেই ঘটনা। ইডেনের বদলে যাওয়া উইকেটের চরিত্রকে এ জন্য কিছুটা দায়ী করেন বোল্ট। বলেন, ‘‘উইকেটটা দু’রকম গতির ছিল। বৈচিত্র ও বাউন্স দুটোই ছিল। পরে ব্যাট করা দলের কাজটা কঠিন করে তোলাই যেত। কিন্তু আমরাই ভাল বল করতে পারিনি। ওরা কিন্তু দুর্দান্ত বোলিং করেছে।’’
প্লে অফে দলের সবচেয়ে সফল বোলার ক্রিস ওকসকে পাবে না কেকেআর। ইংরেজ অলরাউন্ডারকে দেশে ফিরে যেতে হল জাতীয় দলের কর্তব্য পালনের জন্য। নাইট শিবিরে সবচেয়ে বেশি উইকেট তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy