নায়ক: আইপিএল অভিষেকে ম্যাচের সেরা গার্নি। ছবি এপি।
আইপিএল অভিষেকেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বাঁ হাতি পেসার হ্যারি গার্নি। চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে তুলে নিলেন দুই উইকেট। ইংল্যান্ডের বাঁ হাতি পেসারের অস্ত্র ‘অফকাটার’। জয়পুরের পিচে যেটাকে কাজে লাগিয়ে সফল স্টুয়ার্ট ব্রডের বন্ধু।
দলের চতুর্থ জয় দেখে আপ্লুত শাহরুখ খানও। ক্রিস লিনের মারা একটি ছয় মাঠের গাড়ির উপর আছড়ে পড়ে। যা দেখে সব চেয়ে বেশি খুশি ‘বাদশা’। টুইটারে লিখেছেন, ‘‘লিনকে গাড়িটা দিয়ে দাও। নারাইনকে নিয়ে নতুন করে কী আর বলব। উথাপ্পার স্টাইল দেখার মতো। আমাদের বোলাররা অসাধারণ খেলেছে। কেকেআর পরিবারে স্বাগত হ্যারি গার্নি। তোমাদের জন্য লিগ তালিকার শীর্ষে আমরা।’’
অভিষেকেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে যাওয়া গার্নি বলেন, ‘‘জয়পুরের পিচে আমার কাটারগুলো খুব ভাল কাজ করেছে। এ ধরনের পিচে অভিষেক ম্যাচ খেলে আমি আপ্লুত।’’
কাটারের পাশাপাশি বিষাক্ত ইয়র্কারে ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা রয়েছে গার্নির। কিন্তু এই ম্যাচে তা বেশি ব্যবহার করেননি।
আরও পড়ুন: ভয়ডরহীন ব্যাটিং না বিপক্ষের সাদামাটা বোলিং? নাইটদের হেলায় রাজস্থান বধের কারণ কী?
গার্নি বলছেন, ‘‘ডেথ ওভারে ইয়র্কার ও কাটার একসঙ্গে ব্যবহার করলে বিপক্ষকে চাপে রাখা যায়। কিন্তু এ ম্যাচে বেশি ইয়র্কার ব্যবহার করতে হয়নি। আইপিএলের মাঝেই নাক্ল বল নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু প্রতিযোগিতা চলাকালীন তা রপ্ত করতে পারব কি না জানি না।’’
কেকেআর সমর্থকদের জন্য আরও একটি সুখবর। গত বছর যে ক’টি টি-টোয়েন্টি লিগের দলে গার্নি ছিলেন, প্রত্যেকটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাঁর দল। বিগ ব্যাশ লিগে মেলবোর্ন রেনেগেডস, পাকিস্তান সুপার লিগে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের পরে এ বার কেকেআরকে তৃতীয় আইপিএল এনে দিতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার খেলতে নামার আগে গার্নির পারফরম্যান্সে মুগ্ধ অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। তাঁর কথায়, ‘‘গার্নি খুবই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বিশ্বের সব ক্রিকেট লিগে ওর খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেটাই কাজে লাগছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বোলাররা অবশ্যই আজকের নায়ক। কিন্তু ব্যাটসম্যানেরাও নিজেদের দক্ষতা দেখিয়ে দিয়েছে। কয়েকটি জায়গায় উন্নতির প্রয়োজন।’’
চতুর্থ ওভারে ধবল কুলকার্নির বল স্টাম্পে লেগে বাউন্ডারি হয়ে যায়। স্ট্রাইকে ছিলেন ক্রিস লিন। তখন আউট হলে ম্যাচে ফেরার সুযোগ থাকত কেকেআরের। কিন্তু ভাগ্য ধবলের সঙ্গ দেয়নি। লিন বলছিলেন, ‘‘স্টাম্পে বল লাগার আগে আমার ব্যাটেও লেগেছিল। ভেবেছিলাম কিপার হয়তো ধরে নেবে। কিন্তু দু’টোর একটিও হয়নি। ভাগ্যিস। সেই পাওয়ারপ্লেতেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy