জুটি: বিশ্বরেকর্ড গড়া দুই ভারতীয় মেয়ে ক্রিকেটার পুনম রাউত এবং দীপ্তি শর্মা (ডান দিকে)। টুইটার
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে মহিলাদের চতুর্দেশীয় ক্রিকেট সিরিজে একের পর এক রেকর্ড গড়েই যাচ্ছেন ভারতের মেয়েরা। বঙ্গললনা ঝুলন গোস্বামীর পর এ বার খবরের শিরোনামে উঠে এলেন দীপ্তি শর্মা এবং পুনম রাউত।
দক্ষিণ আফ্রিকায় চারদেশীয় এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজে গত সপ্তাহেই সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপকের তালিকায় নাম তুলেছিলেন ঝুলন। সোমবার পোচেফস্ট্রুম-এ আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮৮ রান করে নতুন রেকর্ড গড়লেন উত্তরপ্রেদেশের সাহারানপুরের মেয়ে দীপ্তি শর্মা। ভারতীয়দের মধ্যে এটি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সেরা তিনিই।
দীপ্তির সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ১০৯ রান করে গেলেন পুনম রাউতও। দু’জনের জুটিতে উঠল ৩২০ রান। যা বিশ্বরেকর্ড। শুধু তাই নয়। দু’জনের এই বড় রানের সৌজন্যেই এই প্রথম তিনশোর বেশি রান করল ভারতের মেয়েরা। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে তাঁদের রান ৩৫৮-২। এর আগে এক দিনের ক্রিকেটে ভারতের মেয়েদের সর্বোচ্চ রান ছিল ২৯৮-২। তেরো বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: নাইটদের জন্য মন্থর বাইশ গজ
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারদের এ দিনের রেকর্ড দেখে টুইটারে উচ্ছ্বসিত প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগ। দুই ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারের প্রশংসা করে তাঁর টুইট, ‘‘ ওপেনিং জুটিতে দীপ্তি শর্মা এবং পুনম রাউত ৩২০ রান করায় শুভেচ্ছা। মেয়েরা দারুণ খেলেছে। বাহ্।’’এ দিন আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার। ১৬০ বলে ১৮৮ রান করতে গিয়ে দীপ্তি মেরেছেন সাতাশটি চার এবং দু’টি ছয়। আর তাঁর ওপেনিং পার্টনার পুনম রাউত ১০৯ রান করেন ১১৬ বলে। অবশ্য তাঁর শতরানের ইনিংসে কোনও ছক্কা না থাকলেও ছিল ১১ টি চার।
নিজের এই ১৮৮ রানের সৌজন্যে দীপ্তি ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করলেও মহিলাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দীপ্তির আগে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বেলিন্দা ক্লার্ক। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালে এই রান করেছিলেন তিনি। আর ভারতীয়দের মধ্যে এর আগে সর্বোচ্চ রান ছিল জয়া শর্মার। বারো বছর আগে ২০০৫-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি করেছিলেন ১৩৮ রান। এ দিন তা ছাপিয়ে গেলেন দীপ্তি।
আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই বড় রান করে শুরুতেই মানসিক ভাবে এগিয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয়রা। জবাবে ৪০ ওভারে ১০৯ রানে শেষ হয়ে যায় আইরিশদের ইনিংস। শিখা পাণ্ডে (৩-১৬) এবং রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়ের (৪-১৮) আগুনে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy