ম্যাচ শেষে গ্যালারিতে উঠে ডারইউন নুনেজের ঘুষি। —ফাইল চিত্র।
কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে দর্শককে ঘুষি মেরেছিলেন ডারউইন নুনেজ। সেই ঘটনার জন্য শাস্তি পেলেন উরুগুয়ের ফুটবলার। আন্তর্জাতিক ফুটবলে পাঁচ ম্যাচের জন্য নির্বাসিত হলেন নুনেজ। শুধু তিনি নন, নির্বাসিত করা হয়েছে আরও চার জন ফুটবলারকে। তাঁদের তিন ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে।
কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল উরুগুয়ে। তার পরেই ফুটবলার এবং দর্শকদের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। সেই ঘটনায় শাস্তি দেওয়া হল নুনেজদের। পাঁচ ম্যাচের জন্য নির্বাসন ছাড়াও নুনেজকে প্রায় ১৬ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি ছাড়াও নির্বাসিত করা হয়েছে রদ্রিগো বেন্টাঙ্কুর, রোনাল্ড আরাউজো, হোসে মারিয়া গিমেনেজ এবং মাথাস অলিভেরাকে। তাঁদের মধ্যে বেন্টাঙ্কুরকে ১৩ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাকি তিন জনকে প্রাত ১০ লক্ষ ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল কোপার সেমিফাইনালের পর? কোপার সেমিফাইনাল তখন সবে শেষ হয়েছে। উরুগুয়েকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে কলম্বিয়া। তার পরেই কলম্বিয়ার সমর্থকেরা টুপি, ক্যান ছুড়তে শুরু করেন উরুগুয়ের ফুটবলারদের উদ্দেশে। মাথা গরম করে ফেলেন উরুগুয়ের ফুটবলারেরা। নুনেজ সোজা গ্যালারিতে উঠে যান। এক সমর্থককে ঘুষি মারেন তিনি। সেখান থেকে ঘটনার সূত্রপাত। ক্রমে তা বড় আকার নেয়।
নুনেজের সঙ্গে গ্যালারিতে ওঠেন গিমিনেজ এবং আরাউজো। তাঁরা যদিও কোনও সমর্থকের গায়ে হাত তোলেননি। নুনেজ যখন সমর্থকদের সঙ্গে রীতিমতো হাতাহাতি করছেন, সেই সময় তাঁদের থামানোর জন্য এগিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরাই ফুটবলারদের গ্যালারি থেকে বার করে নিয়ে যান।
সেই ম্যাচে মাঠে কলম্বিয়ার সমর্থক বেশি ছিল। অভিযোগ, তাঁরা শুধু ফুটবলারদের আক্রমণ করেই থেমে থাকেননি, কটূক্তি করেন পরিবারের লোকজনকেও। ম্যাচ শেষে উরুগুয়ের অধিনায়ক গিমিনেজ বলেছিলেন, “খুব খারাপ একটা অবস্থা তৈরি হয়েছিল। কোনও পুলিশকর্মী ছিলেন না। আধ ঘণ্টা পর তাঁরা আসেন। এটা হতাশাজনক। আমরা নিজেরাই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।”
নির্বাসনের ফলে নুনেজেরা ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের কিছু ম্যাচ খেলতে পারবেন না। প্যারাগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, পেরু, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া এবং ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে উরুগুয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy